‘পরিবেশের ক্ষতি না করেও আমরা প্রথম সারির ভুক্তভোগী দেশ’

বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, এমপি বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পরিবেশের ক্ষতি না করেও আমরা প্রথম সারির ভুক্তভোগী দেশ। এজন্য বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এ বিষয়ে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান) তৈরি করা হচ্ছে।

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গবেষণা ও জ্ঞান ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে পরিবেশ বিষয়ক দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুায়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।

আজ শনিবার সকাল ৯টায় ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইকোসিস্টেম রেস্টোরেশন’ শীর্ষক এই সম্মেলন আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে শুরু হয়। মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু ইস্যুতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করছেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে এখানে এ বিষয়ে গবেষণার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এই সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ’

উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। সম্মেলনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বক্তৃতা করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত। এ ছাড়াও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, সম্মেলনের অরগানাইজিং সেক্রেটারি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বক্তৃতা করেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মেলনের অরগানাইজিং কমিটির কনভেনর প্রফেসর ড. দিলীপ কুমার দত্ত।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এতে খ্যাতনামা পরিবেশ বিজ্ঞানী মোহাম্মদ ড. আলী রেজা খান, প্রফেসর জগতপতি থা, প্রফেসর মীরা শ্রীবাস্তব, প্রফেসর অপূর্ব রতন ঘোষ, প্রফেসর লার্জ নিবার্গ এবং প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ ছাড়াও এই সম্মেলনে ১১৯টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হচ্ছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইডেনসহ বিদেশি বিশেষজ্ঞ মোট ৩৮ জন বিজ্ঞানী সশরীরে এবং ভার্চ্যুয়ালি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ