পরিচয় মিলেছে বাঘার সেই মবিল মাখানো লাশের: মামলা, গ্রেপ্তার ৩

বাঘা প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া মুখে পোড়া মবিল মাখানো সেই লাশের পরিচয় মিলেছে। লাশটি চারঘাট উপজেলার সারদা চারাবটতলা এলাকার সুরুজ মিয়ার স্ত্রী দোলেনা বেগমের। তাকে কয়েকদিন আগে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।

গত সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় পুলিশ চকবাউসা গ্রামের মাঠে ভূট্টা ক্ষেত থেকে মুখে পোড়া মবেল মাখানো দোলেনা বেগম (৩৮) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এদিকে, দোলেনা বেগম হত্যা মামলার ৩ জনকে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, চারঘাট উপজেলার পান্নাপাড়া গ্রামের কুরমান আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন, বাঘা উপজেলার চকবাউসা গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, পাঁচপাড়া গ্রামের তাহের সরদারের ছেলে শফিকুল ইসলাম। বুধবার দিবাগত রাতে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে বাঘা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। তাদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী উপজেলার আলাইপুর গ্রামের খাজের আলীর ছেলে মিজানুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।

দোলেনা বেগমকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় তার স্বামী সুরুজ মিয়া। তিনি বাদী হয়ে বাঘা থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত চারজনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সুরুজ মিয়া বলেন, ৯ জুন আমার অনুপস্থিতিতে স্ত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। তারপর থেকে বিভিন্নস্থানে খোঁজ খবর করে পাইনি। ফলে আমি বাদী হয়ে চারঘাট থানায় একটি অভিযোগ করি। পরে জানতে পারি বাঘা থানায় একটি লাশ পাওয়া গেছে এবং দাফন সম্পূর্ণ হয়েছে। পরে পুলিশের কাছে ছবি দেখে চিনতে পারি এবং এ লাশ আমার স্ত্রী দোলেনার।

দোলেনা বেগমের বাবা এসাহাক হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকে জামাই মেয়ে আমার বাড়িতে আছে। তাদের মধ্যে কোন অমিল চোখে পড়ে। ৯ জুন জামাই এর অনুপস্থিতিতে উল্লেক্ষিত আসামীরা আমার ৯ বছরের নাতীর সামনে থেকে কৌশলে অপহরন করে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে চকবাউসা গ্রামের লালু প্রামানিকের ভূট্টা ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখে। পরে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে ছবি দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী জানান, হত্যা মামলার ৩ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে। আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স/বি