পরিচর্যার অভাবে কাশবনের দখলে লালপুর মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম

আলাউদ্দিন জালাল:

দীর্ঘদিন খেলা না হওয়ায় পরিচর্যার অভাবে কাশবনের দখলে নাটোরের লালপুরের শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম।
শনিবার (৭ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথ থেকে চারপাশ ও মাঠ কাশবন দখল করে আছে। গ্যালারীতে শুকানো হচ্ছে পাট। রক্ষনাবেক্ষণ, পর্যাপ্ত লোকবল ও সংস্কারের অভাবে স্টেডিয়ামটি খেলার অযোগ্য হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর হতে এক কিলোমিটার দক্ষিণে লালপুর-গোপালপুর সড়কের পাশে বৈদ্যনাথপুর এলাকায় ২০০৬ সালে নির্মিত হয় স্টেডিয়াম। এটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে। পাঁচ একর জমির ওপর স্টেডিয়ামে কংক্রিট নির্মিত পূর্নাঙ্গ গ্যালারি থাকলেও প্যাভিলিয়ন নেই।

২০০৪ সালে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে লালপুর স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। উদ্বোধন করেন ২০০৬ সালের ২০ অক্টোবর তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান(পটল)। ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল ‘শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম’ নতুন নামকরণের ফলক উন্মোচন করেন, তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার।
এখানে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ২০১২ সালে শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্মৃতি ফুটবল কাপ খেলা হয়। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদরাসা গ্রীষ্মকালীন ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ (অনুর্ধ-১৭) ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও যাত্রাপালা ও সার্কাসের জন্য ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘদিন স্টেডিয়ামে কোন কার্যক্রম নেই।

স্টেডিয়ামের নৈশ প্রহরী শফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই স্টেডিয়ামে কেউ আসে না। যার কারণে কোন প্রকার খেলাও এখানে হয় না। নির্দিষ্ট কোন বেতন ভাতাও পান না তিনি। তবে ঈদ-পরবে কিছু টাকা দেওয়া হয়। স্থানীয় কয়েকজন যুবক বলেন, স্টেডিয়াম সবার জন্য উন্মুক্ত না থাকায় কাশবনে পরিণত হয়। নিয়মিত খেলার ব্যবস্থা করা হলে এমনটি হতো না।
লালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশফাকুল হোসেন রিমন বলেন, করোনার কারণে খেলা হচ্ছে না। সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাতীয় দিবস ও উপজেলা কাপ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

লালপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার বলেন, স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নেই। ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব কোন তহবিল না থাকায় মাঠ সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে ক্রীড়া মন্ত্রাণলয়ের বরাদ্দ পেলে সংস্কার করে পুনরায় খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে।

এস/এ