পরপর আসছে বাংলাদেশিদের মৃত্যু সংবাদ, বহু নৌ সেনা জখম

বিস্ফোরণের পর সময় যত পার হচ্ছে ততই আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাচ্ছে। ভূমধ্যসাগরের তীরে লেবাননের রাজধানী শহর এখন ধংসস্তূপ। শতাধিক মৃত্যুর পরিসংখ্যান উঠে আসছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। এই বিপর্যয়ের ধাক্কা এসে লেগেছে বঙ্গোপসাগর তীরে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও আল জাজিরার খবর, মঙ্গলবার বেইরুট বন্দর বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত নিহতের তালিকায় ৪ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এরা সবাই বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করতেন। এই চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাদারীপুর এবং কুমিল্লার বাসিন্দা। মোট ৭৮ জন প্রবাসী বাংলাদেশি জখম হয়েছেন।

বেইরুটের বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ নৌ বাহিনি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের সময় বন্দরে নোঙর করা ছিল বিএনএস বিজয় জাহাজ। নৌ সেনাদের ২১ জন জখম হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশি নৌ সেনারা রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনির অধীনে লেবাননের উপকূলে কাজ করছিলেন।

বিবিসি এবং আলজাজিরার খবর, নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। পুরো বন্দর এলাকা ধংস। যে গোডাউনে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেখানে প্রচুর পরিমান অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুত ছিল। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সরকারি কর্মীদের গাফিলতি এই মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ বলেই চিহ্নিত হচ্ছে। লেবানন সরকার এই আধিকারিকের তালিকা বানিয়ে গৃহবন্দির নির্দেশ দিয়েছে। শুরু হয়েছে জরুরি অবস্থা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রবল শব্দে মাটি দুলছিল। পরে সিসমোগ্রাফ যন্ত্রে ভূকম্পন ধরা পড়ে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই যে বেইরুট থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাসের নাগরিকরা আওয়াজ পান। সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়া শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের তটরেখা ছুঁয়ে থাকা ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলির অন্যতম লেবানন। আর বেইরুট বন্দর হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বড় কেন্দ্র। সেখানে বিস্ফোরণের পর স্বাভাবিকভাবেই নাশকতার প্রসঙ্গ এসেছে। কিন্তু লেবানন সরকার নাশকতার দাবি নাকচ করে দেয়।