পত্নীতলায় শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ, ফুটপাতের দোকানে ভিড়

আবু সাঈদ, পত্নীতলা:

নওগাঁর পত্নীতলাসহ আশেপাশের এলাকায় গত তিনদিন ধরে বয়ে যাচ্ছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ডিগীর কাছাকাছি। বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্র্য অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল। সে হিসাবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে শীত অনুভূত হয়ে থাকে। চলতি শীত মৌসুমের শুরু হতে শীতের দেখা না মিললেও গত ৩দিন ধরে উত্তরাঞ্চলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে পুরো নওগাঁ জুড়ে। হঠাৎই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে দরিদ্র, প্রান্তিক ও মধ্যম আয়ের মানুষরা। শীত মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় তাঁরা ভিড় করছেন ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে।

সরেজমিনে শুক্রবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিকের তুলনায় রাস্তাঘাটে ও বাজারে জন ও যান চলাচল কম। সকাল ১০টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ দেখা গেছে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর হতে বের হয়নি। প্রচন্ড শীতের কারণে দৈনিক মজুরীর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারেনি। শীতের তীব্রতায় চরম বেকায়দায় পড়েছে দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের প্রবীণ ও শিশুদের নিয়ে মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

শুক্রবার বিকেলে উপজেলা সদর নজিপুর চারমাথা বাস ষ্ট্যান্ডে ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের কাপড়ের দোকানে উপচেপড়া ভিড়। দরিদ্র, প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কমদামে গরম পোষাক ক্রয়ের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চলতি শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ২দিনে রাতে উপজেলার কল্যাণপুর আদিবাসী পাড়া, বালুঘা, নজিপুর পলিপাড়া, পাটিচরা আদিবাসী পাড়ায় ঘুরে তিনি নিজ হাতে প্রায় ২শত পিছ কম্বল বিতরণ করেছেন।

শীতার্ত মানুষকে প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে ৪হাজার ৮শত পিস কম্বল সরবরাহ করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলেও তিনি জানান।

স/অ