পত্নীতলায় গ্রামের ঝুঁকি শহর ফেরতরা


পত্নীতলা প্রতিনিধি:
নওগাঁয় এখন পর্যন্ত কোন করোনা রোগী সনাক্ত না হলেও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টা হতে জেলা প্রশাসন পুরো নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছে। যদিও এর আগে থেকেই নওগাঁর পপত্নীতলাসহ আশে পাশের উপজেলায় অঘোষিত লকডাউন চলে আসছিল। উপজেলা প্রশাসন মানুষকে ঘরে রাখার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছে।

এদিকে নওগাঁ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে মানুষকে ঘরে রাখার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর রাস্তাঘাটে রাস্তায় মানুষের চলাচল ছিল তুলনামুলকভাবে অন্য দিনের তুলনায় কম।

মানুষকে ঘরে রাখার জন্য পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসন জোর তৎপরতা চালালেও করোনার আংতক বাড়িয়ে দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শহর ফেরতরা। অনেকে মোবাইলে এই প্রতিবেদককে জানান, বাহির থেকে বাড়িতে এসে ঘরে না থেকে অনেকে দেদারছে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা সচেতন মানুষের আতংক বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই সাথে এলাকাবাসীকে ফেলে দিচ্ছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন উপায়ে মানুষ ঢাকা, চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ শহর থেকে পত্নীতলায় নিজ গ্রামে এসেছেন। এদের মধ্যে নজিপুর ইউনিয়নের কাঞ্চন গ্রামের ইনতাজের পুত্র রফিক, সুফিয়ার ছেলে শিহাব, জসিম উদ্দীনের পুত্র জিয়া, মন্টুর পুত্র অতুল ও ইসমাইলের পুত্র বেলাল। নজিপুর পৌর এলাকার হরিরামপুর গ্রামের মিলন, রঘুনাথপুর গ্রামের রুবেল, বৃষ্টিপুর গ্রামের নাজিমুদ্দীনের ছেলে নুরনবী, শেরপুর গ্রামের মিঠুন, ফরিদুল, জনি, ডাসনগর গ্রামের রুবেল, আনোয়ারসহ আরো অনেকেই।

শহর ফেরতরা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং অন্যদের সাথে মেলামেশা করছেন। যা এলাকায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. লিটন সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।