পঞ্চগড়ের বোদায় বিষমুক্ত মাল্টাচাষ জনপ্রিয় হচ্ছে

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জেলার বোদায় বাণিজ্যিকভাবে বিষমুক্ত মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের ৩৮টি ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকরা মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুসারে বোদা উপজেলার দুই শ’ জন কৃষক তাদের বসতবাড়িতে মাল্টার চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সাইট্রাস ফল সম্প্রসারণের নিমিত্তে গড়ে উঠেছে এসব মাল্টার বাগান। দেখা গেছে, বসতবাড়ি ও ব্লক প্রদর্শনীতে মাল্টার গাছে থোকায় থোকায় মাল্টার ফল ঝুলছে। বাগানগুলোতে বেশ মাল্টার ফলন হয়েছে।
এ সময় কথা হয় মাল্টা চাষী চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের বানিয়ারপাড়ার গ্রামের আসাদুজ্জামান রিপন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাণিজ্যিকভাবে ১ বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ করেছেন। মাল্টার ফলনও হয়েছে ভাল। তিনি মাল্টা বিক্রি করেছেন প্রায় ৮০ হাজার টাকার। মাল্টার পাশাপাশি তিনি একটি কমলা বাগান গড়ে তুলেছেন।

বড়শশী ইউনিয়নের কাজীপাড়া গ্রামের মাল্টা চাষি কাজী আলমগীর মন্টু জানান, তিনি কমলা বাগানের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভাবে মাল্টার বাগান গড়ে তুলেছেন। এক একর জমিতে তিনি মাল্টার চাষ করেছেন। তার বাগানে এখন থোকায় থোকায় মাল্টা ফল শোভা পাচ্ছে। তিনিও আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাজারের মাল্টা বিক্রির। বিদেশী মাল্টার চেয়ে নিজেদের উৎপাদিতে এই দেশী জাতীয় মাল্টা অনেক বেশি রসালো। এ মাল্টা বিদেশী মাল্টার মত রং ধারণ না করলেও খেতে অনেকটা সু-স্বাধু।
এই দেশীয় জাতের মাল্টা অনেকটাই দেশের চাহিদা পুরণ করতে পারবে বলে অনেকেই মনে করছেন।

এ ব্যাপারে বোদা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আল মামুন অর রশিদ জানান, মাল্টা বেশ লাভজনক ফল। এক বিঘা ৩৩ শতাংশ জমিতে প্রায় ৫০টি চারা লাগানো যায়। রোপনের ৩ বছর পর গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রথমের দিকে গাছ প্রতি ৫০/৫৫টি মাল্টা ধরে। ক্রমান্বয়ে এর ফল বাড়তে থাকে। বাজার দর অনুযায়ী এক বিঘা জমি থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকার মাল্টা বিক্রি সম্ভব বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। কমলার পাশাপাশি মাল্টা চাষের জন্য এ উপজেলার মাটি বেশ উর্বর। ইতিমধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাল্টার চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকরা মাল্টা চাষে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আমরা ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের মাল্টা চাষে উদ্ধুদ্ধ করছি।