নোয়াখালীর ৬ আসনেই ভোট বর্জন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নোয়াখালী ৬টি নির্বাচনী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থীর কর্মীরা কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জালভোট বিএনপির এমপি প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহানের বাসায় হামলা, ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের ২০টি বাড়িতে হামলা ভাঙচুর কেন্দ্রে আনসার নুর নবীকে গুলি করে খুন, অপর গুলিবিদ্ধসহ আহত ২ শতাধিক, এজেন্টসহ গ্রেফতার ১৯, নিখোঁজ ৭ জন।

নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী) বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অভিযোগ করে মুঠোফোনে বলেন, এ উপজেলার ১২৯টি কেন্দ্র দখল করে আওয়ামীলীগ-যুবলীগের কর্মীরা বিএনপির এজেন্টদের বের করে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রে অসংখ্য ককটেল ও বোমা বিস্ফোরণ করে জালভোট দেয়া হয়েছে।

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ) বিএনপি প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে মুঠোফোনে বলেন, এ আসনের ১০৩টি কেন্দ্রের মধ্যে শনিবার রাতেই আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী মোরশেদ আলমের কর্মীরা এ থানার ওসি মিজানুর রহমানের সহযোগিতায় ৮২টি কেন্দ্র দখল করে জালভোট দেয়া হয়েছে।

নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের এমপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা অভিযোগ করেন, এ আসনে ১৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে সকাল ১১টার পর বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা কেন্দ্র থেকে বিএনপির এজেন্ট বের করে দখল করে জালভোট দিয়ে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের ২০ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করছে।

নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের বিএনপি এমপি প্রার্থী প্রাকৌশলী মোহাম্মদ ফজলুল আজিম মোবাইলে জানান, এ আসনে ৭৭টি কেন্দ্র রয়েছে।

সকাল ৮টায় নিরাপত্তা না থাকায় আমি ও আমার পরিবার বাসার সামনে কেন্দ্রে এ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী আয়েশা ফেরদাউস ও তার স্বামী মোহাম্মদ আলীর অস্ত্রধারী কর্মীদের প্রাণের ভয়ে ভোট দিতে পারিনি।

এদিকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তন্ময় দাসকে একাধিকবার মোবাইল করে রিসিভ না করায় তার মতামত নেয়া যায়নি।