নেশা করে পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত, এএসপি বরখাস্ত

ফরিদপুরে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পরিবেশ অধিদফতরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা ও অফিসের কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করায় নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ (এএসপি) সুপার সুমিত চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুমিত চৌধুরী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নৌপুলিশ ফরিদপুর অঞ্চলকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ১২(১) অনুযায়ী চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩০ জুন বিকালে শহরের গোয়ালচামট ১নং সড়ক সংলগ্ন পরিবেশ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ে ঢোকেন নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী। এ সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। প্রথমে তিনি হিসাবরক্ষক হানিফ মো. উজ্জ্বলকে গালিগালাজ করেন ও চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। পরে পরিদর্শক তুহিন আলম ও সদ্য যোগদানকৃত মহিলা কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক গীতা রানী দাসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

এ সময় তাকে বাধা দিতে উপ-পরিচালক ড. মো. লুৎফর রহমান এগিয়ে এলে তাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন সুমিত চৌধুরী। এর একপর্যায়ে তিনি সিসিটিভি ফুটেজের আলামতসহ অফিসের অন্যান্য আসবাবপত্র ভাংচুরের চেষ্টাও চালান।

এ সময় নিজের সম্মান রক্ষার্থে ড. লুৎফর রহমান অফিস থেকে বের হয়ে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামানের কাছে অভিযোগ জানান। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়েরের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বরখাস্তের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে ফরিদপুর নৌপুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরিফ বলেন, অপরাধী যেই হোক তার শাস্তি হতে হবে। তা না হলে সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাবে।

বিষয়টি এখন তদন্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, তদন্তের রিপোর্ট দেয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সিদ্ধান্ত নিবেন।