নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ: নওগাঁর নিয়ামতপুরে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
গত ১০ আগস্ট নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ হাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাহিদ মো. রফিকুল আলম রফিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট নিয়ামতপুর উপজেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল।
এর প্রথম বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয় গত ১৬ আগস্ট সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. সালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ডা. ছালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ করার চেষ্টাকালে বেশ কিছু নেতাকর্মী একত্রিত হয়। অপরপক্ষে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী মুখোমুখি হয়।
এতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে মোস্তাফিজুর গ্রুপের সদস্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে এবং সাথী প্লাজার সামনে পুলিশ অবস্থান গ্রহণ করে।
নিয়ামতপুর উপজেলার সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. ছালেক চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেন, ১৫ বছর যাবত বিএনপির সাথে যাদের কোন সম্পর্ক নেই। যারা নৌকায় ভোট দেয়, তাদের নিয়ে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা একটা গভীর ষড়যন্ত্র। বিএনপিকে ধ্বংস করার চক্রান্ত। অবিলম্বে বিএনপির এই আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে প্রকৃত বিএনপির নেতা কর্মীদের নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হোক। তা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এতে নিয়ামতপুরের আইন শৃংখলার আরো অবনতি হতে পারে।
এ বিষেয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, এটি বিএনপির আভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা পরিবেশ শান্ত রাখার জন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি। আর যাতে আইন শৃংখলার অবনতি না হয় সে জন্য ঘটনাস্থলে ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে।
স/শা
