নির্বাচনী উৎসবে মেতেছে বাগমারাবাসী

বাগমারা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে পুরো উপজেলা। গত ৭ মে উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনিবার্য কারন বসত ২ দুইদিন আগে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে প্রার্থীরা। বন্ধ হওয়া ইউনিয়নে আগামী ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে পুনঃনির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা।

 

নির্বাচন মানেই পোস্টার,ব্যানার আর গণসংযোগ। বিভিন্ন ধর্মের আলাদা আলাদা উৎসব থাকলেও সব উৎসবকে পিছনে ফেলেছে স্বার্বজনীন উৎসব নির্বাচন। নির্বাচনে মুসলিম,হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিষ্টানসহ বিভিন্ন ব্যক্তির দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীরা চান ভোট আর দোয়া।
নির্বাচনের আর কয়েক দিন হাতে থাকার কারনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে এক এলাকা থেকে অন্য এলাকা ছুঁটে চলেছে প্রার্থীর সমর্থকরা। উপজেলার প্রায় ১৬ টি ইউনিয়নের সকল প্রার্থী প্রচারনার মাধ্যম হিসেবে পোস্টার,ব্যানান আর গণসংযোগের পাশাপাশি অডিও রেকডিং করে মাইকের সাহায্যে চলাচ্ছে ডিজিটাল প্রচারণা।

 

হাট-বাজার,গ্রাম-মহল্লা কিংবা পাড়ায় পাড়ায় যেখানেই লোকজনের আনাগোনা সেখানেই বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার। আনন্দের সাথেই প্রার্থীদের পোস্টার টাঙ্গীয়ে চলেছে গ্রামের ছেলেরা।

 

চেয়ারম্যান,মেম্বার কি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সবার একটাই লক্ষ্য প্রচারনা আর দলের সমর্থন জানিয়ে ভোট চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভোটারদের সাথে সাক্ষাত করা।

 

প্রচার প্রচারণা থাকলেও ভয় কাজ করছে ভোটারদের মাঝে। মে মাসের বন্ধ নির্বাচনের দিনে আউচপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী , বিদ্রোহী প্রার্থীর ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের গুলিতে ৪ জন মারা যায়। সেই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নিরীহ ১২ শ ব্যক্তি বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পর থেকেই গ্রাম ছাড়া হয় সেই মামলার আসামীরা। তাই এরকম ঘটনার কারনে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলছে ভোটাররা।

 

প্রার্থীদের টাঙ্গানো এই সকল পোস্টার ছেড়া কিংবা টাঙ্গাতে বাঁধা দিলে যদি কোন প্রার্থীর অভিযোগ উঠে তাহলে সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনে পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে।

 

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান আগামী ৩১ আক্টোবর উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নের ১৪৫ কেন্দ্রে ভোট দেবেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৫ শত ৫৪ জন ভোটার।
স/শ