নিখোঁজের সংখ্যা বাড়ছে; পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পারিবারিক বন্ধন ও পুনর্বাসন জরুরি

সিল্কিসিটিনিউজ ডেস্ক:

বেশ কয়েকমাস ধরে নিখোঁজ থাকা কয়েকজন তরুণই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁ এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় জড়িত। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে নিখোঁজ হওয়ার খবর।

এখন পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া প্রায় দুই’শ জনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন তরুণীও রয়েছে। হারিয়ে গেছে কয়েকটি পরিবারও। এদের কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। স্বজনকে ফিরে পেতে অনেক দ্বারস্ত হয়েছেন তাদের কাছে।

 

এ অবস্থায় নিখোঁজ তরুণ-তরুণীদের তালিকা করে সমন্বিত অনুসন্ধান অভিযান ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন বিশিষ্টজনরা। সেইসঙ্গে পারিবারিক বন্ধন জোরদারের কথাও বলেন তারা। সমাজবিজ্ঞানী ড. নেহাল করিমের মতে, ৩০ বছর আগের সেই পারিবারিক বন্ধন আর নেই। বাবা মা নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। আর সেই শূন্যতা যেসব পরিবারে আছে, সেসব পরিবারের সন্তানরাই বিপথে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দশজন নিখোঁজের ছবি সংবলিত বায়োডাটা প্রকাশ করে ফিরে আসার আহ্বানে সাড়া মেলেনি। বরং রাজধানীর রামপুরা থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রামপুরা থানায় জিডি হয়েছে। নিখোঁজরা আসলে কোথায় গেছে, কী করছে, তা নিয়ে আশঙ্কা, আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থায়, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এ সমাজবিজ্ঞানী। সেইসঙ্গে নতুন করে কুপথে যাওয়া ঠেকাতে অভিভাবক ও সরকারকে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. নেহাল করিম।

 

 

নিখোঁজরা জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছেন, এমন আশঙ্কা থেকে জঙ্গি অবস্থা থেকে কেউ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এলে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা এবং জঙ্গিদের বিষয়ে তথ্যদাতাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে র‌্যাব। এদিকে, নিখোঁজরা স্বেচ্ছায় ফিরে না এলে খুঁজে এনে তাদের আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আর যারাই তরুণ সমাজকে বিপথে নিচ্ছে, তাদের শেঁকড় খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্রঃ বাংলামেইল।