নাশকতার আগুনে দগ্ধ আছিয়াকে নেওয়া হচ্ছে ঢাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন পরবর্তী রাজনীতির আগুনে পোড়া শিশু আছিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১০ অক্টোবর আছিয়াকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। আছিয়ার চিকিৎসার জন্যে এগিয়ে এসেছেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিঘাত পারভীন।

 

জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩শে জানুয়ারি নানীর সঙ্গে খড়িবাড়ি থেকে বাসে করে আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি মহোনপুরের কাশিমালায় ফিরছিলেন ছয় বছরের শিশু আছিয়া। বাসটি তানোর ব্র্যাক অফিসের সামনে পৌচ্ছালে বাসটি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। মুহুূতেই বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং অগ্নিদ্বগদ্ধ হয় শিশু আছিয়া। তার মুখ হাতসহ শরীরের প্রায় ১২ শতাংশ পুড়ে যায়। কালোছায়া নেমে আসে আছিয়ার কৃষক বাবা আজিম উদ্দিন ও মাতা শিউলি বেগমের সংসারে। তারা অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। কারণ তারা অত্যান্ত গরীব তাদের বড় মেয়েও ফারজানা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। এর মধ্যে তাদের ছোট মেয়ে পুড়ে যাওয়ায় তারা চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করে। এরপর দীর্ঘ ১৮দিন আসিয়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। বাড়িতে ফিরে গেলেও আছিয়ার চিকিৎসার জন্য প্রত্যেকমাসে খরচ হয় ২হাজার টাকা। যা তার পরিবারের পক্ষ বহন করা অত্যান্ত কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়। এর মধ্যে আসিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে এবং এজন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করানোর আশা যখন ছেড়ে দিয়েছিলেন গরীব পিতা-মাতা তখন আছিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী ও মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নিঘাত পারভীন।

 

আগামী ১০ অক্টোবর আছিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সহযোগীতা করবেন তিনি। এর আগেও তিনি একাত্তর টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন মেহেদি হাসানের মুখ থেকে শুনে অগ্নিদ্বগ্ধ আচিয়ার পাশে তার বাসায় ছুটে যান তিনি এবং শিশুটির চিকিৎসা এগিয়ে আসেন তিনি। তিনি মনে করেন জনগনকে খুশি করার জন্য নয় আল্লাহকে খুশি করার জন্য কাজ করতে হবে। তাহলেই জনগনের উপকার হবে এবং জনগন খুশি হবে।

 

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেত্রী নিঘাত পারভীন বলেন, ৫ জানুয়ারীর পর থেকে আমাদের দেশে এমন একটা সময় তৈরি হয়েছিলো যখন ঘরে, রাস্তায়, এলাকায় এলাকায় আগুনের দহনে বহু মানুষ পুড়েছে এবং অনেকে আহত হয়েছে। সে আগুন ও দহন থেকে বাঁচার জন্য আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী যে প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন তাতে আগুন নিভে গেছে। কিন্তু সে আগুনের যন্ত্রণা এবং পুড়ে যাওয়া সে আগুনের দহন এখনো অনেক মানুষের শরীরে রয়ে গেছে। তাতে তারা জ্বলচ্ছে। সে রকমই আগুনে দ্বগ্ধ আছিয়া, তাকে আমি দেখেছিলাম সে যে যন্ত্রণা ভোগ করছে তা অত্যান্ত কষ্টের। আমাদের প্রাণ প্রিয় নেত্রী যদি আমাদের দেশের আগুন নিভিয়ে দিতে পারে তাহলে আমি আছিয়ার পাশে দাড়িয়ে কেন তার যন্ত্রনা মুছে দিতে পারবোনা। কেন তার আগুনের দহন মেটাতে পারবোনা। আমাদের সর্বস্ব দিয়ে তার এ যন্ত্রনা আমাদের মুছিয়ে দেয়া উচিৎ। সেজন্য আমি তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।

স/মি