মেডিকেল ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

সিল্কসিটিডনিউজ ডেস্ক:

২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে বলে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিগত বর্ষের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিচারিক কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে এ রিটটি করা হয়।

আগামীকাল শুক্রবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষার ঠিক এক দিন আগেই রিটটি করলেন এই আইনজীবী।
রিট আবেদনে ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভর্তিসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর করা রিটে স্বাস্থ্যসচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সাতজনকে বিবাদী হিসেবে রাখা হয়েছে।
রিট আবেদনের যুক্তি বিষয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ২৯ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট জিপিএ–৯ ও লিখিত পরীক্ষায় পাসের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে। আগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে মোট জিপিএ–৮ পেলেই চলত। তখন এসএসসি ও এইচএসসিতে পাওয়া জিপিএ ও নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হতো। আগে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মূল্যায়ন করা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ২০০ নম্বর করা হয়েছে।

 

এই আইনজীবীর যুক্তি, মেডিকেল চিকিৎসাশিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসাশিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি নীতিমালা ও শর্তাবলি নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের। এ ক্ষেত্রে অধিদপ্তর আইনগতভাবে কর্তৃত্ব না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষায় পাসের জন্য ৪০ শতাংশ নম্বর পাওয়ার শর্ত আরোপ করেছে।

সূত্র: প্রথম আলো