নাটোরে শিশু হত্যার দায়ে দুলা ভাইয়ের ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরে শিশু খান জাহান (৭) কে হত্যার দায়ে দুলাভাই মোহাম্মাদ হেলাল (২৭) কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার দুপুরে আসামীর উপস্থিতিতে এই দণ্ডাদেশ দেন নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম। মামলায় অপর তিন আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত।

নাটোর জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি সিরাজুল ইসলাম জানান, সোমবার নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগমুরশন গ্রামের তালেব আলীর ছেলে খান জাহান (৭) হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য্য ছিল। মামলার আসামীরা সবাই আদালতে হাজির ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো.রেজাউল করিম রায় ঘোষনা করেন। রায়ে আসামী মো. হেলাল (২৭) এর বিরুদ্ধে শিশু খান জাহানকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

মো.হেলাল সিংড়ার আগমুরশন গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। রায়ে আসামী মো.মিলন হোসেন (২৫) আসাদুল (২৫) হেলেনা বেগম (৪৫) কে আদালত খালাস দেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় আগমুরশন গ্রামের মো.তালেব আলীর মেয়ে রোকেয়া খাতুন তাঁর স্বামী মো.হেলালের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন। এই আক্রোশে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারী দুপুরে হেলালসহ অন্যান্য আসামীরা তালেব আলীর বাড়ি থেকে তাঁর ছেলে খান জাহানকে অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তার লাশ বস্তায় ভরে শয়ন ঘরে রেখে দেয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে হেলালের বাড়ি তেকে খান জাহানের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তালেব আলী বাদী হয়ে পরের দিন চারজনের বিরুদ্ধে সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্তকালে আসামী হেলাল ও মিলন বিচারকের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে হেলাল তার শ্যালক খান জাহান আলীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করার কথা সরাসরি স্বীকার করেন। তবে মালেক হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করে লাশ গুমের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা জানায়।

মামলায় ১৩ জন সাক্ষি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যাালোচনা করে আদালত হেলালকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যু কার্যকর করার নির্দেশ দেন আদালত।

আসামী পক্ষের আইনজীবী লোকমান হোসেন জানান, তিনি তাঁর দণ্ডিত মক্কেলের জন্য আপীল করবেন।

স/অ