সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মাহবুব হায়দার মিন্টুকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় শহরের বঙ্গজল এলাকার ট্রমা সেন্টারের সামনে নিজ বাড়ি থেকে তিনি বের হলে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় মিন্টুর ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে তারা।
আহত যুবলীগ নেতা মিন্টু শহরের উত্তর চৌকিরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র এবং বগুড়ার ইউনিক কন্সালটেশন ফার্মের ব্যবস্থাপক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিন্টু সাংবাদিকদের জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়া থেকে নাটোরে বাড়িতে
আসেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে বের হলে স্থানীয় সন্ত্রাসী সুমন ও বাবুর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে জিম্মি করে বাড়ির পাশে ট্রমা সেন্টারের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় আমাকে বাঁচাতে এসে সুমন নামের এক যুবক মারপিটের স্বীকার হয় । সন্ত্রাসীরা আমার ব্যবহৃত গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং নগদ টাকা, মোবাইল, চেক বই নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে নাটোর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। স্থানীয় সন্ত্রাসী বাবু ও সুমন র্দীঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল ।
এদিকে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক নেতা বাবু ও যুবলীগ কর্মী সুমনের মাধ্যমে জানা গেছে, ইতিপূর্বে মিন্টুর নেতৃত্বে সাব্বির বাহিনী সুমনের হাতের রগ কেটে দেয় এবং বাবুর দুই পা ভেঙ্গে দেয়। তারপরও তাকে মিন্টুকে কিছু
বলেনি।
বাবু ও সুমন জানান, মিন্টু হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তারা জড়িত নয় । এটা ষড়যন্ত্র । এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
