নাটোরে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহৃত: ভেসে গেছে ১২ কোটি টাকার মাছ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের তিন উপজেলায় দিন দিন বন্যা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি বাড়ছে ক্ষতির পরিমান। সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং নলডাঙ্গায় গত ৫দিনে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে আট শতাধিক পুকুরের মাছ। বন্যা পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারনে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

এখন পর্যন্ত স্থানীয় মৎস্য বিভাগ সাড়ে ১২কোটি টাকার ক্ষতিপরিমান নির্ধারণ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত যে সব পুকুর নিমজ্জিত হয়নি সে সব পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা।

পুকরে মাছ চাষীরা বলছে, হঠাৎ বন্যার কারনে রাতারাতি পুকুরের মাছ বন্যার পানির সাথে ভেসে গেছে। অনেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়েছে। তবে বণ্যায় মাছ চাষীদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, জেলা মোট ২২হাজার পুকুর রয়েছে। এরমধ্যে সিংড়া উপজেলায় ৬হাজার পুকুরের মধ্যে এখন পর্যন্ত বন্যার পানিতে ৭শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এই উপজেলায় এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২৮লাখ টাকা। এছাড়া নলডাঙ্গা উপজেলায় বারনই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে ৬০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এই উপজেলায় ক্ষতি পরিমান নির্ধারণ করা হয়েছে ৭লাখ ২০ হাজার এবং গুরুদাসপুরে বণ্যার পানিতে ভেসে গেছে ৪১টি পুকুরের মাছ। ক্ষতি পরিমান ধরা হয়েছে সাড়ে ৬লাখ টাকা।

সিংড়া উপজেলার ভাগনাগরকান্দির মাছ চাষী আবুল কালাম বলেন, তার অন্তত ৫টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে মোটামুটি ১০লাখ টাকা তার ক্ষতি হয়েছে। আরো ৫টি পুকুরও নিমজ্জিত হওয়ার উপক্রম। বন্যার পানি বাড়লে সেগুলোও তলিয়ে যাবে।

আরেক মাছ চাষী হোসেন আলী সিল্কসিটি নিউজকে জানান, হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারনে তার ২টি পুকুরের মাছ সম্পূর্ন ভাবে ভেসে গেছে। এতে তার ৮লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরকারী ভাবে কোন সহায়ত না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে পড়বে।

নাটোর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মাছ চাষীদের তালিকা করে অব্যাহত রেখেছি। বন্যার পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই ভেসে যাচ্ছে নতুন নতুন পুকুরের মাছ। এতে চাষীরা লাখ লাখ টাকার ক্ষতি শিকার হচ্ছে। মাছ চাষীদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরনের পর যদি কোন অনুদান পাওয়া যায়, সেগুলো ক্ষতিগ্রস্থ মাছচাষীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।

স/অ