সোমবার , ২০ মার্চ ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নাটোরে বন্ধ হয়েছে চাঁদা আদায়, ইজি বাইকচালক মালিকদের স্বস্তি: আটক ২

Paris
মার্চ ২০, ২০১৭ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর :
অবৈধ সংগঠনের নামে নাটোরে ইজি বাইক চালক-মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় অবশেষে বন্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যে স্বস্তি ফিরেছে চালক-মালিকদের মধ্যে। আর চাঁদা না দেয়ার জন্য পৌরসভা থেকে মাইকিং করা হয়েছে।

 

এদিকে, সোমবার সকালে চাঁদা তোলার সময় দুই চাঁদাবাজকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ইজি বাইক চালকমালিকরা। আটককৃতরা হচ্ছে, শহরের বেসপাড়া এলাকার জয়নাল খান’র ছেলে আব্দুল জলিল এবং বড়হরিশপুর এলাকার মৃত সাবেদ আলীর ছেলে তাহের আলী।

 

এরআগে রবিবার অবৈধ সংগঠনের নামে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে থানা ঘেরাও করে বিক্ষুদ্ধ ইজি বাইক চালক-মালিকরা।
ইজি বাইক চালক ও মালিকরা জানান, নাটোর সদর উপজেলা আটো বাইক চালক ও মালিক সমিতির নামে প্রতিমাসে অন্তত দুইশত টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছিল ভুঁইফোড় অবৈধ সংগঠনটি। শহরের ৭টি স্পটে লোক নিয়োগ করে চাঁদার টাকাগুলো আদায় করা হতো। অনেক সময় চাঁদা না দিলে সংগঠনের লোকজনের হাতে মারধরের শিকারও হতে হয়েছে চালকদের। নামসর্বস্ব ওই সংগঠনের আইনগত কোন ভিত্তি না থাকলেও প্রতিদিন শহরে চলাচাল করা অন্তত তিন হাজার ইজি বাইক থেকে মাসে ৫ থেকে ৬লাখ টাকার চাঁদা আদায় হয়ে আসছিল। এরই প্রতিবাদে এবং চাঁদা বন্ধের দাবীতে রবিবার বিক্ষোভ মিছিল করে থানা ঘেরাও করে বিক্ষুদ্ধ ইজি বাইক চালক-মালিকরা। আর এই খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার এবং প্রকাশিত হলে সোমবার সকাল থেকে চাঁদা তোলা বন্ধ করে সংগঠনের সদস্যরা। এতে স্বস্তি ফিরে আসে চালকদের মধ্যে।

 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবৈধ সংগঠনটি শহরের যে সাতটি স্পটে চাঁদা তুলে আসছিল, সোমবার সকাল থেকে সংগঠনের কাউকে চোখে পড়েনি। কোন ইজি বাইক চালকও চাঁদা দেয়নি।
মকবুল হোসেন নামের এক আটো চালক বলেন, চাঁদা উঠানো বন্ধ হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। সংগঠনটি চালক মালিকদের কোন কাজে না নাগলেও অযথা টাকা দেয়া লাগতো। এখন আর দিতে হবে না।
এদিকে, অবৈধ সংগঠনের কোন সদস্যদের চাঁদা না দেওয়ার জন্য নাটোর পৌরসভা থেকে মাইকিং করেছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে এই মাইকিং করা হয়।
এবিষয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরি জলি বলেন, অবৈধ সংগঠনের সদস্যরা দীর্ঘ দিন ধরে লাখ লাখ টাকা চাঁদা তুলে আসছিল। আর এই টাকা গুলোতে পকেট যেতে কিছু টাউট বাটপারদের পকেটে। তাই ইজি বাইক চালক মালিকদের অনুরোধে অবৈধ সংগঠনের সদস্যেদের চাঁদা না দেয়ার জন্য শহরে মাইকিং করা হয়েছে। কেউ যদি আবারো চাঁদা তোলার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর