নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় অস্ত্রের মুখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দশম শ্র্রেনীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পাঁচুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে গতকাল রোববার বিকেলে। এ ঘটনায় বাগাতিপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মামলা নথিসূত্রে জানা গেছে, বাগাতিপাড়া উপজেলার মুরাদপুর পাঁচুরিয়া আদর্শ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী প্রতিদিনের মত রবিবার বিকাল ৩টার দিকে পাচুরিয়া গ্রামের আজম মাস্টারের কাছে প্রাইভেট পড়ে বাসায় ফিরছিল। এ সময় একই গ্রামের আবু রায়হানের ছেলে বখাটে সজিব (২৫) পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তার চাচাতো ভাই মিঠুর শয়নঘরে খাটের নিচে অবস্থান নেয়। পরে ওই ছাত্রী মিঠুর বাসার সামনে এলে তার বউ ডেইজি বেগম কথা বলার নাম করে ওই ছাত্রীকে ঘরের ভিতরে খাটের উপর বসতে বলে বাইরে গিয়ে দরজার ছিটকানি লাগিয়ে দেয়। পরে সজিব খাটের নিচ থেকে বের হয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ও ওড়না দিয়ে দু’হাত বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় বাধা দিলে অস্ত্রের আঘাতে জখম প্রাপ্ত হয় সে। কিছুক্ষণ পরে ডেইজি বেগম এসে দরজা খুলে দিলে বাড়ী ফিরে গিয়ে তার মাকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে সে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সজিবের নিকট আত্মীয়দের সাথে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজনের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
বাগাতিপাড়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামীরা পলাতক থাকায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে আসামীদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
স/মি