শনিবার , ৭ অক্টোবর ২০১৭ | ১৩ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নাচোলে ভুল অস্ত্রোপাচারে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু: মামলার মূল আসামী গ্রেপ্তার

Paris
অক্টোবর ৭, ২০১৭ ৬:০২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌর এলাকার জননী ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তারের ভুল অস্ত্রোপাচারে স্কুল ছাত্রী নাহিদা হত্যা মামলার মূল আসামী নুরুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি জননী ক্লিনিকের এমডি ও নাচোলের চৌপুকুরিয়া গ্রামের মৃত নুহু আলমের ছেলে।
ভুয়া ডাক্তারের ভুল অস্ত্রোপাচারে মৃত্যুবরণকারী স্কুল ছাত্রী নাচোলের বাইপুর দরগা এলাকার নাসিরুদ্দিনের ৭ম শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) মাহবুব আলম শনিবার দুপুরে জানান, পেটে আ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলে জননী ক্লিনিকে গত ১৭ জুলাই নাহিদার পেটে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে ভুল অস্ত্রোপাচার করা হয়। ফলে দুইদিন পর ১৯ জুলাই নাহিদা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এ ঘটনায় পরদিন ২০ জুলাই নাহিদার পিতা নাসিরুদ্দিন নাচোল থানায় ৪১৯, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা করেন (নং-০৭)।
প্রসঙ্গত, নাহিদা হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার অন্যতম আরেক অভিযুক্ত ও ভুয়া ডাক্তার নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার আবু বক্করের ছেলে মাহফুজ রহমানকে (ডা. মাসুদ রানা নামে ভূয়া পরিচয়দানকারী) গ্রেপ্তার করে ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে পাঠায়। ২৫ জুলাই ভুয়া ডাক্তারের (মাহফুজের) রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ২৬ জুলাই দুপুরে নাচোল থানা হাজত থেকে নাহিদা হত্যা মামলার রিমাণ্ডের আসামী ভূয়া ডাক্তার মাহফুজের গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ দাবি করে মাহফুজ আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে মাহফুজের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, টাকার দাবিতে পুলিশ মাহফুজকে রিমাণ্ডে এনে হত্যা করেছে। এই অভিযোগে মাহফুজের বড় ভাই শাহিনুর আলম ৬ আগষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নাচোল থানার ওসি, নাহিদা হত্যা মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ পুলিশ ও নাহিদার পিতাসহ এক আত্মীয়কে আসামী করে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনে মামলা করেন।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার গ্রেপ্তার হলেন জননী ক্লিনিকের ম্যাট্রিক পাস মালিক ও চাঞ্চল্যকর নাহিদা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী নুরুল ইসলাম।
স/অ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর