রাজশাহী নগর ও জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহী মহানগর বিএনপির পর এবার জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের প্রতি অনস্থা প্রকাশ করছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। রাজশাহী জেলা বিএনপির নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে তোফাজ্জল হোসেন তপু ও মতিউর রহমান মন্টুকে সাধারণ সম্পাদক করায় এ ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। রাজশাহী জেলা বিএনপির দুর্গাপুর শাখার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনাস্থা প্রকাশ করা হয়।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অযোগ্য ও ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের এই দায়িত্ব দেয়ায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে। তাদরে দিয়ে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রাম করা সম্ভব হবে না। তাই এই বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি ঘোষণা করার দাবি জানানো হয়।

 

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে গণকপাড়া কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকতের কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এ সময় কার্যালয়ের বেশি কিছু আসবাবপত্র নষ্ট হয়। এ ঘটনায় কার্যালয় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সৈয়দ শাহীন সওকতের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন নেতাকর্মীরা।

 

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্র থেকে রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি ঘোষাণা করা হয় গত ২৭ ডিসেম্বর। দুই কমিটি নিয়ে এখানার দুটি অংশ আপত্তি তুলেন। জেলা কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলেন নামিদ মোস্তফা গ্রুপ। আর মহানগর কমিটি নিয়ে আপত্তি তুলেন মিজানুর রহমান মিনু গ্রুপ। যে দুই নেতা দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিএনপির মহিরথি হিসেবে কাজ করেছেন।

 

তবে নতুন কমিটিতে তাদের দাদাগিরির বিষয়টি স্তব্ধ করে দিয়ে নতুন নেতৃত্ব দেওয়া হয়। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হন কিছু  নেতাকর্মী। তারাই এখন হামলা-তালা লাগানোসহ কমিটির প্রতি অনাস্থা নিয়ে আসছেন।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পদাক শেখ মহসিন সিল্কসিটি নিউজকে বলেছিলেন, অর্থের বিনিময়ে সৈয়দ শাহীন শওকত পদ পেতে সহযোগীতা করেছে এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তিনি ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে যারা মাঠে থাকে না তাদের পদ পেতে সহযোগীতা করেছেন।

 

তার একদিন আগে ২৯ ডিসেম্বর রাত আটটার দিকে নগর বিএনপির নতুন কমিটি দেওয়ার পর মহানগর বিএনপি অফিসে তালা ঝুলানো হয়েছে। এ সময় নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়ের প্রধান ঘেরাও করে রাখেন।  ক্ষুব্ধ কর্মীরা নতুন সভাপতি বুলবুলের বিপক্ষে ও মিনুর পক্ষে শ্লোগানও দেন। এর আগে সন্ধ্যায় নগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

 

স/আ