একদিনের ব্যবধানে ফের চালু হলো অটোরিকশা: যানজটে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাস্তায় যানজট আর অতিরিক্ত যানবাহন কমানোর জন্য বছরের শুরুতেই রাজশাহীতে ব্যাটরীচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেয় রাজশাহী সিটি করপোরেশন। একদিন পার হতে না হতেই আবারো চালু করা হয়েছে ব্যটারীচালিত অটোরিকশার চলাচল। ফলে ফের নগরীতে যানজট বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ একদিন আগে ব্যাটারি চালিত রিক্সা-ভ্যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি আসে নগরবাসির জীবনে।

 

কিন্তু সোমবার সকালে অটোরিকশা পুনরায় চালুর দাবিতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় বিক্ষুব্ধ ব্যাটারি চালকরা। দাবি আদায়ে নানা শ্লোগান দিতে থাকেন তারা। এ সময় অটোরিকশা শ্রমিক এবং মালিকেরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নগর আওয়ামী লীগ-শ্রমিক-পুলিশের সাথে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে পুনরায় চালু করা হয় অটোরিকশা। সঙ্গে সঙ্গেই নগরীতে বাড়তে থাকে যানজট।

 

জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর রাস্তায় অটোরিকশা পুনরায় চলাচলের জন্য ১১ দফা দাবি নিয়ে রাসিক মেয়রের নিকট যায় জাতীয় রিকশা শ্রমিক লীগের সদস্যরা। এতে রিকশার গতিবেগ কম রাখা, যেখানে সেখানে অবৈধভাবে যানবাহন না রাখা,বৈধ কাগজ ছাড়া রাস্তায় কোন রিকশা না চলা, রাজশাহীতে কোন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই যার ফলে রিকশা বন্ধ হলে হাজারো শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এমন কথা বলা হয়। কিন্তু রাসিক পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বছরের প্রথম দিন সকল ব্যটারী চালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। পাড়ায় মহল্লায় মাইকিং করে রিকশা চালনায় নিষেধাজ্ঞা করে দেয়া হয়।

একদিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার বিক্ষুব্ধ মালিক-শ্রমিকরা জমায়েত হয় রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে। পরে দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন সেখানে উপস্থিত হয়ে জাতীয় রিকশা শ্রমিক লীগ এবং মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যদের সাথে বৈঠক করেন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা বৈঠকের পর মালিক শ্রমিক এবং নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সকলের সম্মতিক্রমে নতুন ভাবে শর্ত পরিবেশন করা হয়।

এতে বলা হয়, রিকশার গতি ২০ এর উপরে তোলা যাবেনা,রিকশায় অবশ্যই পা ব্রেকের ব্যবস্থা করতে হবে, এক বছরের মধ্যে ব্যাটারীচালিত রিকশা পরিবর্তন করতে হবে, রাসিক কর্তৃক প্রদত্ত ৫ হাজার ৪৪৪ টি লাইসেন্স ব্যাতীত অতিরিক্ত লাইসেন্স বৃদ্ধি করা যাবে না, অবৈধ লাইসেন্সকৃত ব্যটারীচালিত অটোরিকশা বন্ধ করতে হবে, বাইরের জেলার অটোরিকশা শহরে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না, চার থানায় পৃথকভাবে মালিক এবং শ্রমিক লিখিত ভাবে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে এবং কেউ কোন প্রকার  চাদা দাবি করতে পারবে না, রাসিকের লাইসেন্স প্লেট এ্যমবুশ মনোগ্রাম ও নম্বর প্লেট করতে হবে এবং ব্যাটারী চালিত অটোরিকশার লাইসেন্স ফি যা আছে তা আর বৃদ্ধি করা যাবে না।

 
পরে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এ সকল শর্তাবলী শ্রমিকদের কাছে তুলে ধরে রাসিক মেয়রের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলে আনন্দ মিছিল করে ফিরে যান শ্রমিকরা।

 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জেডু সরকার, সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন, রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন খান প্রমুখ।

স/শ