নগরীতে চোর সন্দেহে পাগলকে পিটিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে চোর সন্দেহে এক মানষিক ভারসম্যহীনকে (পাগল ৩৫) পিটিয়ে জখম করেছে সিকিউরিটি গার্ডেরা। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় তারা। মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায়।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত দুইটার দিকে মানষিক ভারসাম্যহীন ওই যুবকটিকে চোর সন্দেহে ধাওয়া করে নগর ভবনের কাছে গিয়ে মারধোর করতে থাকে সিকিউরিটি গার্ডেরা। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে এসে লাঠি সোটা নিয়ে হাত পা বেধে মারধোর করতে থাকে। রাত দুইটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চলে অমানবিক নির্যাতন। এরপর ফজরের আযানের পর তাকে ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে, যুবকটি দেখতে ভীড় জমায় স্থানীয়রা। যুবকটির পায়ের হাটুর নিচের অংশ ফেটে যায় এবং শরীর বিভিন্ন অংশে রক্তে মেখে যায়।

স্থানীয়রা জানান, যুবকটি কথা বলতে পারছে না। একবার শুধু বলেছে তার বাড়ি চাঁপানবাবগঞ্জে। কিন্তু কোন এলাকায় কি নাম তাও বলতে পারছে না। তবে তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে মানষিক ভারসাম্যহীন।

খবর পেয়ে সকালে পুলিশ সেখানে পৌছালে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নেয়ার কথা বলে চলে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দড়িখরবনা লাইনপাড়া এলাকার সিকিউরিটি গার্ড সাবেদ আলী সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, ওই যুবককে এর আগে কখনো দেখিনি। আমি দেখলাম কয়েকজন নাইট গার্ড তাকে মারতে মারতে নিয়ে আসছে। অনেক আগে থেকেই নগরভবন এলাকায় মারধোর করতে থাকে। ভোরের আযানের আগে অটো নিয়ে এসে এখানে হাত পা বেধে মারতে থাকে। পরে যুবকটি আর কোন নড়াচড়া না করলে এখানেই রেখে চলে যায় তারা।

তবে যুবকটিকে এভাবে মারধোরের পর ফেলে রাখাকে অমানবিক বলে দাবি করছেন স্থানীয়া। ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রেন্টু সিল্কসিটিনিউজকে বলেন, সে যেই হোক এভাবে একটা মানুষকে মারেধোর করে ফেলে রেখে যাওয়াটা সম্পূর্ণ অমানবিক। যদি চোর সন্দেহেই হয় তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে পুলিশে দেয়া দরকার ছিল।

তিনি বলেন, যুবকটিকে দেখে মনে হয় সে মানষিক ভারসম্যহীন। আমি এলাকার গার্ড কমিটিকে খবর দিয়েছি। তারা আসলেই যুবকটির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

স/শ