নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রী’র বিগত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বর্তমান কমিটির সভাপতিসহ সকল পরিচালকবৃন্দ। তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাষ্ট্রী’র সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল।

 

অভিযোগে জানা গেছে, চেম্বারের বিগত কমিটির নিকট থেকে বর্তমান কমিটি দায়িত্বরভার  গ্রহন করে গত ১লা অক্টোবর’১৬ ইং তারিখে। দায়িত্বভার অর্পনের সময় সংগঠনের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নং ০১০৮১২১০০০১৫৭১৩ এর এসবিএ/এ নং ৬৫৭৪০৯৯ হ’তে ৬৫৭৪১১০ পর্যন্ত মোট ১২টি চেকের পাতা এবং  ঐ হিসাবে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৮ টাকা ও হাতে নগদ ৫১ হাজার ১১৫ টাকা বুঝে দেয়া হয়।

 

ব্যাংক স্টেটমেন্টে উল্লেখিত টাকা থাকলেও দায়িত্ব বুঝে দেয়ার পরও উক্ত হিসাবের এসবিএ/এ চেক নং ৬৫৭৪০৯৫ মোতাবেক ৪৪,৯১০ টাকা, এসবিএ/এ চেক নং ৬৫৭৪০৯৬ মোতাবেক ৬,২০০ টাকা এবং এসবিএ/এ চেক নং ৬৫৭৪০৯৭ মোতাবেক ২০,৫০০ টাকা সর্বমোট ৭১,৬১০ টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়।

 
পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে বর্তমান কমিটির আপত্তির মুখে উক্ত টাকা উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়। এই টাকা উত্তোলিত হলে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সময় ব্যাংক হিসাবে যে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৮ টাকা জমা দেখানো হয়েছে তা থেকে উত্তোলিত ৭১ হাজার ৬১০ টাকা কম থাকতো।

অপরদিকে চেম্বারের ব্যাংকিং লেন দেন কমিটির সভাপতি এবং সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে থাকে। নওগাঁ চেম্বারের সচিব কামরুজ্জামান আজ থেকে প্রায় দেড় বছর পূর্বে এখানকার চাকুরী ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চাকুরী করছেন। কিন্তু ঐ কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরে পূর্বের কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন তাঁর মেয়াদের শেষ দিন গত ১লা অক্টোবর’১৬ পর্যন্ত যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব লেদদেন করে গেছেন। এমন কি তাঁদের যৌথ অগ্রিম স্বাক্ষরে আরও চেকের পাতা বিদ্যমান রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগেই চেকের পাতাগুলোতে উক্ত সচিবের  অগ্রিম স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল্।

এ ছাড়াও চেম্বারের একজন কর্মচারীকে দু’টি পৃথক পদে দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই ব্যক্তিকে প্রতিমাসে দুইজনের বেতন প্রদান করা হচ্ছে। চেম্বারের কর্মচারী মোঃ মাসুদ রানা’র নির্ধারিত পদবী অফিস সহকারী। তিনি অফিস সহকারী হিসেবে প্রতি মাসে বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসাভাতা ও কল্যানভাতা মিলিয়ে ৮ হাজার ৯শ ১৫ টাকা উত্তোলন করেন।

 

এ ছাড়াও এ একই ব্যক্তিকে হিসাব রক্ষক পদ দেখিয়ে  প্রতি মাসে নির্ধারিত ২ হাজার ৫শ টাকা প্রদান করা হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ কোন পরিচালক কিছুই জানেন না। কমিটির কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই দীর্ঘদিন এই একই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে দুইটি পদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।

 
এসব অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেছেন ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনে এরকম অনিয়ম অনাকাংখিত। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
স/শ