নওগাঁর রাণীনগরে স্কুল ও জায়গা জবরদখল করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর রাণীনগরে স্কুল ও জায়গা জবরদখল, জালিয়াতি এবং মিথ্যে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাণীনগর দারুস ইহসান কিন্ডার গার্টেন মাদ্রাসা ও নুরানী স্কুল প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক মমতাজ উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ উদ্দিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, দীর্ঘ ৩১ বছর যাবত ছোট ভাই ময়নুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে উপজেলার টিএন্ডটি অফিস সংলগ্ন বাসা ভাড়া নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরু করেন।

পরবর্তিতে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের চকমুনু মৌজায় ১.৬০ একর জায়গা দুই ভাইয়ের নামে কিনে নির্মিত নিজস্ব ভবনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নতুন করে শুরু করেন। এরপর মমতাজ উদ্দিন চাকরির জন্য চট্টগ্রামে যাওয়া পূর্বে তার ছেলে মিজানুর রহমানকে তার দায়িত্বভার প্রদান করলে ছোট ভাই ময়নুল ইসলাম তা মেনে নেয় না। গত বছরে করোনা মহামারির শুরুতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলে মমতাজ প্রতিষ্ঠান ও তার বাসার চাবি ছোট ভাই ময়নুলকে প্রদান করে পরিবারর নিয়ে চট্টগ্রামে চলে গেলে ময়নুল দশ লক্ষ টাকা সমমূল্যের বিভিন্ন মালামাল তার বাসা থেকে বের করে নেয়। এই বিষয়ে আমি ময়নুলের বিরুদ্ধে রাণীনগর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করি।

মমতাজ উদ্দিন বলেন, পরবর্তি সময়ে ময়নুল আমরা না থাকার সুযোগে আমার ছেলেকে না জানিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ১৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা আমার উপর চাপিয়ে দেয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আগ মুহুর্ত্বে ময়নুল কৌশল করে তার দুই ছেলের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভবনের দিক উল্লেখ করে লিখে দিয়ে আদালতের মাধ্যমে মিথ্যে মামলা দায়ের করলে আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ওই জায়গার উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আবার ময়নুল নিজেই আইন অমান্য করে স্কুলসহ ওই পুরো জায়গা জবরদখল করে আছে।

এছাড়াও ময়নুল আমার স্বাক্ষর নকল করে আকরাম হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে সাক্ষী বানিয়ে ময়নুল ৫০ টাকা মূল্যের ৬ টি স্ট্যাম্পে ২০ লক্ষ টাকা মূল্যে একটি ভুয়া বায়নানামা দলিল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জায়গা ও অন্যান্য সম্পদ নিজের বলে দাবি করছে।

মমতাজ উদ্দিন আরো বলেন, ময়নুল সম্প্রতি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে তথ্য দিয়ে “রাণীনগরে হামলা চালিয়ে স্কুল বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ” শিরোনামে দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়ার যে সংবাদ প্রকাশ করেছে আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর পাশাপাশি আমি স্কুল ও জায়গা অবৈধ ভাবে জবরদখল করার বিষয়ে সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ময়নুল ইসলামের দৃষ্টান্তর মূলক শাস্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মমতাজ উদ্দিনের মা মোমেনা বেওয়া, জেলা ও উপজেলায় কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীরা।

এই বিষয়ে ময়নুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বড় ভাই মমতাজ উদ্দিনের কাছ থেকে আমি টাকা পাবো। সেই টাকাসহ অন্যান্য সম্পদ আমাকে না দেওয়ার জন্য এই সব মিথ্যে অভিযোগ তুলেছে।

স/আর