নওগাঁয় কেজিতে তিন টাকা বেড়েছে চালের দাম

নওগাঁ প্রতিনিধি :
খুচরা চাল ব্যবসায়ী মো. আনিছুর রহমান বলেন, রমজানের শুরু থেকে চালের বেচাকেনা একদম কম। আমি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ বস্তা চাল বিক্রি করতাম। কিন্তু রমজানের দিন থেকে একদিনও এক বস্তা চাল বিক্রি করতে পারিনি। মোকামগুলো থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে চাল। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, বর্তমানে কৃষকের ঘরে ধান নেই, ফলে হাটগুলোতে ধানের চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। ফলে একটি মিল চালাতে যে পরিমাণ ধানের প্রয়োজন সেটি পাচ্ছে না মিলাররা। অন্যদিকে পরিবহন শ্রমিক এবং বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। সব মিলিয়ে প্রভাব পড়েছে ধান-চালের দামে।

তবে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত নয় কৃষকরা। তাদের দাবি এই মুহূর্তে ধান নেই কৃষকের ঘরে। চাষিদের মাঠ থেকে ধান তুলে মজুদ করার কোনো সুযোগ থাকে না। কারণ ধান তুলেই বিক্রি করতে হয়, কারণ সেই টাকায় শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়, স্যার কীটনাশকের দাম দিতে হয় এছাড়াও সংসার খরচ রয়েছে। ফলে কৃষকরা কোনোদিনই ধান মজুদ করতে পারে না। কিছু ব্যবসায়ী ভরা মৌসুমে চাষিদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে মজুদ রেখেছিল। সেগুলোই এখন বাজারে বিক্রি করছে বেশি দামে।