ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর ধামইরহাটের লিচুর বাম্পার ফলন হলেও করোনায় দাম না পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। বর্তমানে বাগানে গাছের থোকায় থোকায় লিচু ঝুলছে। পাকতে শুরু করেছে লিচু। তবে সার্বিক পরিস্থিতিতে পাইকার ও ফড়িয়া ক্রেতার আনাগোনা কম থাকায় লিচু চাষীরা ক্ষতির আশংকা দেখছেন।
জানা গেছে,উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত শিববাটি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহমান (৬৩) দক্ষিণ শিববাটি গ্রামের দক্ষিণে ১ একর জমিতে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে লিচু বাগান তৈরি করেন। বাগানে মোট ১৬৬টি লিচু গাছ আছে। এর মধ্যে চায়না-৩ জাতের ৪৩টি, ৫১টি চায়না-২, ৬৬টি মোজাফ্ফরীয়া (মাদ্রাজী) এবং ২টি বোম্বাই জাতের লিচু গাছ রয়েছে। গাছে ফুল আসা থেকে শুরু করে সঠিকভাবে সার,কীটনাশক প্রয়োগ করায় গাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে লিচু আসে। বাগানে মোজাফ্ফর জাতের লিচু বিক্রি যোগ্য হয়েছে। এরপর চায়না-৩ এবং সর্বশেষ চায়না-২ জাতের লিচু পাকতে শুরু করবে। বাগানে লিচু পাকতে শুরু করায় রাতে বাদুড় অনেক লিচু নষ্ট করছে। বাদুড় থেকে লিচুকে রক্ষার জন্য পুরো বাগান বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে সারারাত আলো জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। অন্যান্য বছর লিচু পাকার এক মাস আগ থেকে পাইকাররা বাগানে আসতো। অনেকে পাইকারদের কাছে লিচু বাগান আগাম বিক্রি করতো। কিন্তু করোনার প্রভাবে এবারও পাইকার বা ফড়িয়া ক্রেতার আনাগোনা তুলনামূলক কম।