ধর্ষণ মামলায় জামিন পেয়ে আবারও ধর্ষণ!

বরগুনায় গোলাম রাব্বি নামের এক ধর্ষণ মামলার আসামি জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে বরগুনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিয়ের প্রলোভনে মিথ্যা কাবিননামা বানিয়ে মাসের পর মাস ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে রাব্বী। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে নির্যাতনের পাশাপাশি নেশার ঘোরে বারবার ধর্ষণ করতো ওই কিশোরীকে। সবশেষ গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাব্বি তার বন্ধু মামুনের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে কিশোরীকে। এরপর নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন।

পিতা-মাতার একমাত্র  সন্তান গোলাম রাব্বি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও যৌন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। মাদক ব্যবসার প্রসার এবং উঠতি বয়সী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করাই তার মূল লক্ষ্য। প্রতিবেশীরা জানায়, বাবা-মা শাসন করতে গেলে তাদেরকে আত্মহত্যার হুমকিও দেয় রাব্বী। সম্প্রতি একটি ধর্ষণ মামলায় আদালত থেকে সে জামিন পেয়েছে। প্রতিবেশীরা জানায়, কয়েক বছর আগে থেকে রাব্বী মাদককে জড়িয়ে পড়ে।

গোলাম রাব্বি তার স্ত্রীকে কৌশলে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে গত ৫ আগস্ট স্ত্রীর বান্ধবীকে কৌশলে বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই কিশোরীকে একইভাবে পরদিনও ধর্ষণ করে রাব্বি। হঠাৎ ঘরে ঢুকে স্ত্রী ওই কিশোরীসহ স্বামীকে উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পালিয়ে যায় রাব্বি। পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং একই সময়ে অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে একই দিন বরগুনা সদর থানায় গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ  করে। কিন্তু জামিনে বের হয়ে যায় রাব্বি। রাব্বি আবারও পুনরাবৃত্তি ঘটায় একই অপরাধের।

সরকারি চাকুরিজীবী বাবা-মায়ের প্রভাব ও টাকার জোরে বহু অভিযোগ থেকে বিনা বিচারে মুক্তিও পেয়ে দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে গোলাম রাব্বি।

বরগুনার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শহীদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রাব্বির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পলাতক রাব্বিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। একইভাবে ধর্ষণের অভিযোগে পূর্বেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মাদক মামলাতেও সে জেল খেটেছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন