ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় শিশু মাইশাকে হত্যা

রংপুরে ৪ বছরের শিশু মাইশা আক্তার প্রতিবেশী জহুরুল হক ছক্কুকে চুমু খেতে বাধা দিয়ে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে আঘাত করে। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মাইশাকে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। বুধবার নগরীর কেরানীপাড়া এলাকা থেকে ছক্কুকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন ঘাতক ছুক্কু। বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শিশুটির পরিবার ও অভিযুক্ত ছক্কু (৪৫) প্রতিবেশী। মাইশা তাকে দাদু বলে ডাকতো। ছক্কুর স্ত্রী ও কন্যা তার শ্বশুর বাড়িতে থাকায় একা থাকতেন সে। গত সোমবার দুপুরে ছক্কু মাইশাকে মোয়া কেনার জন্য দুই টাকা দেন। শিশু মাইশা মোয়া কিনে আনলে ছক্কু কৌশলে তাকে বাড়ির ভেতর নিয়ে যায় এবং কয়েকবার চুমু দেয়।

এসময় মাইশা পাশে থাকা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ছক্কুকে আঘাত করলে ক্ষিপ্ত হয়ে ছক্কু মাইশাকে সজোরে ধাক্কা দেন। এতে বাঁশের সঙ্গে বুকে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায় মাইশা। এরপর বস্তায় লাশ ভরে বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে মাইশার লাশ প্রতিবশী মতিন ও শাহিনের ডোবায় ফেলে গা ঢাকা দেয় ছক্কু।

মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মাইশার লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে। মাইশা রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সরকারপাড়া গ্রামের মিস্ত্রী মনোয়ার হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় পিতা মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওইদিনই মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

রংপুর পিবিআই স্ব উদ্যোগে ওই মামলার তদন্ত করে। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছক্কুকে নগরীর কেরানীপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন