দৌলতদিয়ায় পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক যানবাহন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

নাব্য সংকটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে তিন দিন ধরে ফেরি চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে। এর চাপ পড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ওপর।

এছাড়া তীব্র সে াতের কারণে এ রুটে ফেরি পারাপার চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়ার উভয় প্রান্তে প্রতিদিন যানবাহন আটকা পড়ছে।

শুক্রবার বিকাল ৪টায় দৌলতদিয়া ঘাটে মহাসড়কে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার যানবাহনের সিরিয়াল সৃষ্টি হয়। এতে আটকে পড়া যানবাহনের যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্টরা দুর্ভোগের শিকার হন।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পদ্মার মোড় ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সারিতে ৪ শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়ার বিশাল ট্রাক টার্মিনালে ১-২ দিন আটকে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ যানবাহন।

বিআইডব্লিটিসি সূত্র জানায়, নৌরুটে পাঁচটি ঘাট দিয়ে ১৮টি ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তিন দিন ধরে রোরো ফেরি কেরামত আলী যান্ত্রিক সমস্যায় বন্ধ রয়েছে। নদীতে নাব্য সংকটের কারণে চার-পাঁচ দিন ধরে ৩ নম্বর ঘাটে দুটি ড্রেজিং চলছে।

এ ঘাটটিতে রোরো ফেরি ভেড়ানো না গেলেও মাঝেমধ্যে ছোট ফেরি ভিড়ছে। এছাড়াও পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ৩ ও ৪নং ফেরিঘাটের মাঝামাঝিতে চলছে ড্রেজিং।

ঘাটে দায়িত্বরত রাজবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের টিআই এসএম আসাদুজ্জামান জানান, মাওয়া ঘাট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে চলছে ড্রেজিং। কাঁচামাল পরিবহনকারী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পার করা হচ্ছে।