দুর্গাপুর পৌর নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগ ও বিএনপি’র প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ

গোলাম রসুল, প্রতিনিধি:


দুর্গাপুর আসন্ন রাজশাহী দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে দুর্গাপুরে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ভোটের আমেজ। তফশিল ঘোষণা না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। পৌর এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার অভিযান। দলীয় টিকিট পেতে প্রার্থীরা শুরু করেছেন লবিং গ্রুপিং।

বড় দুইদল আওয়ামীলীগ বিএনপিরদের মধ্যে এই লবিং-গ্রুপিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে। থেমে নেই জাতীয় পার্টিসহ সতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হতে চায় আওয়ামী লীগ বিএনপির তৃনমূল নেতাকর্মীরা। এবারো এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধীক প্রার্থী নির্বাচনী লড়ায়ে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। দুর্গাপুর পৌরসভায় সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে চলতি বছরের শেষে নির্বাচন হওয়ার কথা। আর সেই সময়ের অঙ্ক কষেই মাঠে নেমেছেন নেতারা। বিশেষ করে করোনা মহামারির মধ্যে কর্মহীন, হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ভোটারদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক প্রার্থীরা।

তবে এবার দুর্গাপুর পৌরসভায় সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের তালিকায় রয়েছেন তরুণ মুখ। এর পাশাপাশি বসে নেই কাউন্সিলর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগ শুরু করেদিয়েছেন ওই সকল প্রার্থীরা। তবে প্রার্থীরা কাছের নোতকর্মীদের নিয়ে ভোটযুদ্ধের পরিকল্পনাও করে চলেছেন বেশ জোরে সরে।

তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একক প্রার্থী দেওয়া কথা থাকলেও দুর্গাপুরে একাধীক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছাড় দিতে চাইছেনা জাতীয় পাটিও। এবার দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে উভয় দলের হয়ে পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ¦ীতা করবেন এমন প্রার্থীর সংখ্যাও একাধীক। বিশেষ করে গত ৫বছরে যারা বিতর্কের বাইরে থেকেছেন, নিজ এলাকায় অবস্থান করেছেন এবং কর্মীদের সাথে ভাল ব্যবহার করেছেন তাদেরকেই প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান ভোটাররা।

আর জেলার নেতারাও বলছেন, তরুণ, ক্লিন ইমেজ, উচ্চ শিক্ষিত, তৃণমুলের মতামত এবং বিদ্রোহী প্রার্থী যেন কেউ না হতে পারে সে বিষয়গুলো বিবেচনা করেই এবার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া হবে। দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ব্যানারে প্রার্থী হতে চান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনিবাহী কমটির সদস্য প্রভাষক আমিনুল হক টুলু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান ফিরোজ,সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,আওয়ামীলীগ কর্মী হাসানুজ্জামান সান্টু।

অপরদিকে বিএনপি ব্যানারে প্রার্থী যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সাইদুর রহমান মুন্টু, বিএনপির নেতা জার্জিস হোসেন সোহেল। এদিকে প্রার্থী মনোনয়নে দলীয় সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেবেন বলে উভয় দলের নীতি নির্ধারনী মহল জানিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যদি কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ¦ীতা করেন তবে তার বিরুদ্ধে দলীয় ভাবে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হাবে।