দুর্গাপুরে ১৫০ কিলো রাস্তা: ২০ বছরেও ছোয়া লাগেনি সংস্কারের !

গোলাম রসুল, দুর্গাপুর:
দুর্গাপুর উপজেলার প্রায় ১৫০ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরেও সংস্কারের ছোয়া লাগেনি। ফলে হাজার হাজার পথচারিদের দুর্ভোগ প্রহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তা গুলোর কাপেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। এমনকি বেশ কিছু রাস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই যে কোনটা পাকা আর কোনটা কাঁচা রাস্তা। আর এই কারনে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পাড়েছে ওই সকল রাস্তা গুলো। যার ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটারসহ নানান দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই উপজেলার হাজার হাজার মানুষের।

সরেজমিনে খোঁজনিয়ে জনাগেছে, দুর্গাপুর বাজার হতে প্রধান রাস্তা পালি বাজার পর্যন্ত প্রায় ৭ কিঃমিঃ ,পালি বাজার থেকে কাশেমপুর বাজার ৪ কিঃমিঃ ,দুর্গাপুর বাজার থেকে বহরমপুর চৌবাড়িয়া হয়ে হোজা ৫ কিঃমিঃ, আলীপুর থেকে তাহেরপুর ১০ কিঃমিঃ, কানপাড়া থেকে আনোলিয়া দাওকান্দি বাজার ১০ কিঃমিঃ, কানপাড়া থেকে গগনবাড়িয়া হয়ে চুনিয়াপাড়া ৮ কিঃমিঃ ,কানপাড়া থেকে বাগলপাড়া হয়ে দাওকান্দি ৭ কিঃমিঃ, নান্দপাড়া থেকে কাঠালবাড়িয়া ১ কিঃমিঃ, কাঠালবাড়িয়া থেকে ওয়াজের মোড় ২ কিঃমিঃ,আমগাছি বাজার থেকে মাহেন্দ্রা বাজার ৫ কিঃমিঃ,কানপাড়া বাজার হয়ে যুগিশো হয়ে মোহনঞ্জ বাজার ১২ কিঃমিঃ,শামপুর থেকে নওপাড়া হয়ে মোহনঞ্জ ৭ কিঃমিঃ,বহরমপুর হয়ে চৌবাড়িয়া সাজিপাড়া ৩ কিঃমিঃ,আমগাছি থেকে হাড়িয়াপাড়া ৩ কিঃমিঃ,আমগাছি ঝালুকা হয়ে বানেশ্বর বাজার ১৫ কিঃমিঃ ,কানপাড়া থেকে বাজুখালসি হয়ে জয়নগর বাজার ৫ কিঃমিঃসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নির্মানাধীন রাস্তা গুলোর কাপেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে।

বর্তমানে এসকল রাস্তায় চলাচলের অনউপযোগি হয়ে পড়েছে। এমনকি রাস্তার দু ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তা গুলো ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে এ উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে যোগাযোগের মাধ্যম নছিমন, করিমন, ব্যাটারি চালিত অটো, ভ্যান, ও মোটর সাইকেল আরোহীদের দূর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে চরমে। বিশেষ করে বিভিন্ন কাচাঁ ফসল নিয়ে হাটে বাজারে যেতে আরো বেশি দুর্ভোগ পহাতে হচ্ছে চাষিদের।

দুর্গাপুর উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের কৃষক মোকবুল হোসেন বলেন, বিগত বিএনপির আমলে দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছিলো। বর্তমান সরকারের এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা পর-পর দুইবার এমপি হওয়ারপরেও এই উপজেলায় তেম একটা রাস্তা কাজ হয় নি। যার ফলে হাটে বাজারে ফসল বিক্রির জন্য নানান সমস্যয় পড়তে হয়। উপজেলার হোজা গ্রামের নুরুন-নবী,শরিফুল ইসলাম,গোলাম মোস্তফাসহ কয়েকজন ব্যাক্তি জানান, দুর্গাপুর থেকে হোজা যাওয়ার রাস্তাটি দেখে বোঝার ওপাই নেই যে পাকা না কাঁচা।

এ রাস্তাটি দীর্ঘ ২০ বছরেও উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। খানা খন্দকে পরিনত হওয়া ৩ কিলোমিটার রাস্তার কারনে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের অন্য এলাকা দিয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে দুর্গাপুর বাজারে যেতে হয়। তারা আরো জনান, অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে তাদের সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হয় ওই ভাঙ্গাচুরা রাস্তার কারনে।

এদিয়ে অনেকে অভিযোগ করে বলেন, গত দুই একবছরে যে সকল রাস্তা সংস্কার করা হয়ে সেই সকল রাস্তা গুলোর কাজের মান তেমন ভালো না হওয়ার কারনে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা পিচ উঠে খোয়া বাহির হয়ে যাচ্ছে এবং এজিংয়ের ইট ভালো না হওয়ায় ও রাস্তার দুধারে ভালোভাবে মাটি না দেওয়ার কারনে রাস্তা গুলো নির্মান ও সংষ্কারের কিছুদিনের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ছে।

তারা মনে করেন উপজেলার প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে তেমন ভুমিকা না থাকায় নির্মানকৃত সামগ্রী নিম্নমানের কারনেই এঘটনা ঘটছে। ওই সকল রাস্তা অতি দ্রুত মেরামত না করলে আগামিতে ওই সকল রাস্তা গুলো সংস্কারে জন্য সরকারে বড় আকারে অর্থ ব্যায় হবে বলে মনে করেন স্থানীয় জনসাধরণ। এলাকাবাসী জরুরী ভিত্তিতে বড় বড় খানা খন্দক ও ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা গুলো সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, রাস্তার তালিকা মন্ত্রাণালয়ে পাঠনো হয়েছে।

 

 

স/আ