দুর্গাপুরে যুগিশো উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেলো জামায়াত নেতা

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
দুর্গাপুর যুগিশো উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি টাকার বিনিময়ে জামায়াতের নেতা হাবিবকে অফিস সহকারি পদে নিয়োগ দিয়েছে । এ নিয়ে স্থানীয়রা সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয় স্কুল কমিটিকে না জানিয়ে গোপনে যোগ্যপ্রার্থীদের বাদ দিয়ে খুব দ্রুত তড়ি ঘড়ি করে মাত্র ২০মিনিটে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেছেন নিয়োগ কমিটি বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

গত শুক্রবার সকালে উপজেলার যুগিশো উচ্চ বিদ্যালয়ে পছন্দের প্রার্থীদের ডেকে নিয়ে তড়িঘড়ি করে এ নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করা হয়। এদিকে, ওই নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের কোন কিছু ঘটতে পারে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ২৫ এপ্রিল যুগিশো উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি এন্তাজ আলী দায়িত্ব থেকে অব্যfহত নেয়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির অফিস সহকারি পদটি শূন্য হয়। এর মধ্যেই প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক স্থানীয় জামায়তের নেতা সিদ্দিকের সাথে নিয়োগ নিয়ে কথা হয়। জামায়াতের নেতা সিদ্দিক তার ছোট ভাই সেও জামাতের নেতা হাবিবের জন্য ১৫লাখ টাকার চুক্তি করে। এমনকি প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক জামায়াত নেতা হাবিবেবর কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়োগের জন্য নিয়ে নেয়। প্রধান শিক্ষাক জামায়াত নেতা হাবিবের নিয়োগের টাকা নিয়ে গোপনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু স্থানীয় ভাবে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ ঘটে।

পরে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাত্তার তার ছেলে সোহেলের জন্য যোগাযোগ করেন। এমনকি সোহেল ওই পদে আবেদন স্কুলে জমা দেন। কিন্তু তার আবেদন যাচাই বাছাই না করে প্রধান শিক্ষক বাতিল বলে জানিয়ে দেয়।

এদিকে, প্রধান শিক্ষক গোপনে জামায়াতের নেতা হাবিবকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু স্থানীদের চাপের মুখে সে হাবিবকে প্রকাশ্যে নিয়োগ দিতে পারছে না। প্রধান শিক্ষক কৌশলে হাবিবের আবেদন জমা নেয়। এমনকি তার সহযোগি অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ও নিজের চারজন ছেলেকে দিয়ে আবেদন করায়।

কিন্তুু এর মধ্যে স্থানীয় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নিজেই আবেদন করেন। তার আবেদন বাতিল না করলেও সে লিখিত পরীক্ষা দিতে আসেন। সেখানে এসে দেখেন প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি জামায়াতের নেতা হাবিবকে দিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন পড়াচ্ছে। আর আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হলো না। পরীক্ষার সময় হলে আসতে হবে বলে প্রধান শিক্ষক জানান। কিন্তুু এর মধ্যে জামায়াতের নেতা হাবিবের লিখিত পরীক্ষার খাতা পরীক্ষা শুরুর আগে লেখা হয়ে যায়। পরে লৌক দেখানো পরীক্ষা নিয়ে ৫মিনিটেই ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান ছাত্রলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। এমন নিয়োগবোর্ড যেন এদেশে কখনো দেখিনি। যা ২০মিনিটেই নিয়োগ বোর্ড সম্পন করেন নিয়োগ কমিটি।

এদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, অফিস সহকারি নিয়োগের নামে যে ভাবে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিয়োগ বাণিজ্য করেছে তা মুখে বলার ভাষা নেই। অফিস সহকারি পদের জন্য প্রকাশ্যে প্রার্থীদের কাছে কে কত টাকা দিতে পারবেন তা জানিয়ে দেয়া হয়। যে বেশি টাকা দিতে পারবেন তার নিয়োগ হবে। এ পদের জন্য এম দামাদামি করে তার মূল্য উঠে প্রায়১৫ লাখ টাকা।

স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর সাত্তার বলেন, গোপনে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি টাকার বিনিময়ে জামায়াতের নেতা হাবিবকে নিয়োগ দিয়েছে। নিয়োগের নামে এরা যে টাকা নিয়ে জামায়াত নেতাকে নিয়োগ দিয়েছে। স্থানীয় ভাবে দাবি করছি দ্রুত এ নিয়োগবোর্ড বাতিলের।

বিদ্যালয়ের সভাপতি সুজা উদ্দিন সুজার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে, যুগিশো উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, টাকা লেনদেন হয়েছে তবে ১৫লাখ না কম হয়েছে। আমি এর বেশি বলতে পারবো না। তিনি আরো বলেন নিয়োগে টাকা নিয়েছি তাতে কি হয়েছে।

স/অ