দুর্গাপুরে ব্রিজের দু’পাশ ভাগাড়, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ মরে যাচ্ছে নদী

গোলাম রসুল, দুর্গাপুর:


দুর্গাপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া হোজা নদীর দু’পাশ ভাগাড় ও ভরাটে পরিণত হতে চলেছে। ১৭ কিলোমিটার লম্বা এই নদীটির যেন কোন অভিভাবক নেই। ফলে ইচ্ছেমত ফেলা হচ্ছে নদীতে আবর্জনা।

উপজেলার প্রধান বাজারে নদীতে নির্মিত নতুন ব্রিজের ধারে অবাধে ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ফলে দূষিত হচ্ছে নদী ও এর আশপাশের পরিবেশ। ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদীর কিছু অংশ। ঐতিহাসিক হোজা নদীর পাশেই রয়েছে হাট-বাজার। রয়েছে অনেক হোটেল, মাছের বাজার, মুরগির দোকান, মাংসের দোকান, কাঁচা তরকারির বাজারসহ নানা ধরনের দোকান। এসবের সব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীর নতুন ব্রিজের দু’ধারে।

সরজমিনে দেখা যায়, সিংগা হাট বাজারের বিভিন্ন বর্জ্য এবং সাপ্তাহিক দুটি হাটের সব ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। হোজা নদীর নতুন ব্রিজের পাশে থেকে নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলছে বাজারের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশ। দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। অপরদিকে দেখা যায়, নদীর যে স্থানে ময়লা ফেলা হচ্ছে সেখান থেকে থানা মাত্র ২০০ গজ দূরে। ওই এলাকার বসবাসকারী সাইদুর মন্টু, আদনান, ইউসুপসহ অনেকেই বলেন, গরমের সময় আমরা বিকেলে নদীর উপরে প্রধান ব্রিজটির উপরে বসে থাকি। আবার স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা শরীর ভাল রাখার জন্য নিয়মিত নদীর ধারে হাঁটাহাঁটি করে। কিন্তু নদীর ধারে ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে ভরপুর হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। এমনকি ওই পথ দিয়ে মানুষ হাঁটতে পারছে না।

ময়লা ফেলার বিষয়ে কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের ময়লা ফেলার জন্য কোন নির্দিষ্ট জায়গা দেয়া হয়নি। যদি কোন জায়গা আমাদের নির্দিষ্ট করে দেয়া হতো, তাহলে আমরা সেখানেই ময়লা ফেলতাম।
দুর্গাপুর বাজার সমিতির সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব বলেন, নদীতে ময়লা ফেলা ঠিক নয়। ময়লা ফেলার জন্য একটা নির্দিষ্ট জায়গা থাকা দরকার।

এবিষয়ে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহসীন মৃধা বলেন, দুর্গাপুর হোজা নদীর দু’পাস সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সবর জন্য প্রয়োজন। নদীতে ময়লা ফেলে কোনভাবেই নদীকে দূষিত করতে দেয়া যাবে না। অতি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।