দুর্গাপুরে খাদ্যগুদামের গেট বিক্রির অভিযোগ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের পুরনো লোহার প্রধান গেট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ নেতা রুস্তম আলীর বিরুদ্ধে। পরে খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ১৯০ কেজি ওজনের সেই গেটটি উদ্ধার করে। এঘটনায় দুর্গাপুর উপজেলায় ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে। অভিযুক্ত রুস্তম আলী উপজেলার ধরমপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

তবে গেটটি বেচার পেছনে খাদ্য অধিদপ্তরের লোকজন জড়িত আছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, উপজেলা খাদ্য গুদামের প্রধান গেট নতুন করে স্থাপন করা হয়। পরে পুরনো গেটটি গুদাম চত্বরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। অভিযোগ উঠেছে, গত শনিবার আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী তার কর্মীদের দিয়ে সেই গেটটি গুদাম চত্বর থেকে গাড়িযোগে তুলে নিয়ে থানা মোড়ে অবস্থিত সেলিম নামের এক ভাংড়ি ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে সবার মাঝে সমালোচনা দেখা দেয়। পরে উপজেলা খাদ্যগুদামের ইনচার্জ (ওসিএলএসডি) আফরোজা বেগম সোমবার দুপুরে সেই ভাংড়ি দোকান থেকে ওই গেটটি উদ্ধার করেন। তবে ১৯০ কেজি ওজনের ওই গেটটি খাদ্য গুদাম হতে কিভাবে বাহিরে গেলে তা নিয়ে সাধারণ মানেষ মাঝে দেখা দিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া। অনেকে মনে করছেন গেটটি বেচার পেঁছনে ওই গুদাম কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা রুস্তম আলী জানান, তাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মহল তার নাম দিয়ে গেটটি বিক্রি করিয়েছে। তিনি এবিষয়ে কিছুই জানেন না।

এবিষয়ে দুর্গাপুর খাদ্যগুদাম ইনচার্জ (ওসিএলএসডি) আফরোজা বেগম বলেন, গেটটি একটি ভাংড়ির দোকান হতে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কিভাবে সেখানে গেছে আমার জানা নেই। এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ছালাম বিশ্বাষ বলেন, পুরনো লোহার গেট সম্পর্কে তার দপ্তারের খাদ্যগুদামের ইনচার্জ জানেন। তিনি গেট বিষয়ে কিছুই জানেন না, তবে সেই গেটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

স/শা