দুধ সংকটে নাটোরে মিল্কভিটার কারখানা বন্ধ,রাস্তায় দুধ ঢাললেন খামারিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, নাটোর:
দুধ সংকটের কারণে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হলো মিল্কভিটার নাটোরের দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রটি। এতে বিপাকে পড়েছেন দুগ্ধ খামারি। কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন খামারিরা।

দুগ্ধ শিতলীকরণ কেন্দ্র এবং খামারিরা জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারী মিল্কভিটার উপ-মহাব্যবস্থাপক রেহেনা রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ খামারিদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ বন্ধ করে দেয়। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন দুগ্ধ উৎপাদনকারীরা। পরে শিতলিকরণ কেন্দ্রেটি পুনরায় চালু এবং বন্ধের প্রতিবাদে নাটোর-নলডাঙ্গা সড়কের মুল ফটকের সামনে রাস্তায় দুধ ঢেলে প্রতিবাদ জানায় তারা।

চৌমহনি ভোলাহাট দুগ্ধ সমবায় সমিতির সভাপতি মানিক চন্দ্র সরকার বলেন, হঠাৎ করে মিল্কভিটা দুধ ক্রয় করা বন্ধ করে দেওয়ার কারনে খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। তাছাড়া কেন্দ্রটি চালু থাকলে যে সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো,তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে যারা মিল্কভিটার কাছে দুধ বিক্রি করতো তারা পড়েছেন বিপাকে।

বাসুদেবপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতির সভাপতি কালিদাস বাগচি বলেন হঠাৎ করে শিতলিকরণ বন্ধ ঘোষনার কারণে এখন খামারিরা এত পরিমান দুধ কোথায় বিক্রি করবে। যার কারনে খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া অনেক খামারি দুধ বিক্রি করতে না পারলে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন। তাই আমরা মাননীয় সংসদ সদস্য সহ সকলের কাছে দাবি জানায় শিতলিকরণ কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হোক।

নাটোর মিল্কভিটা দুগ্ধশিতলিকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার রহমান বলেন, ৫ হাজার লিটার পাস্তরাইজড ক্ষমতা সম্পন্ন নাটোর শীতলীকরণ কেন্দ্রটি বর্তমানে মাত্র ২শ’লিটারের বেশি দুধ পাচ্ছেনা। পাশাপাশি চাষীরা যে দুধ সরবরাহ করছেন তাও মান সম্পন্ন না।এ অবস্থায় পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারখানাটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় উর্ধতন কর্তৃপক্ষ।

তবে খামারিরা পুনরায় কারখানাটি চালুর দাবী জানিয়েছে, তাদের দাবী-দাওয়াগুলো উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স/শ