‘দুদক কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেয় না, ভবিষ্যতেও দেবে না’

‘সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেয়। এই অর্থ যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়- সেদিকে নজর রাখবে দুদক। এ কাজ সম্পাদনের জন্য কমিশনের কর্মকর্তাদের যেন কোনো গাফিলতি না থাকে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।’

আজ মঙ্গলবার  রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক।

গত ২ জানুয়ারি দুদকের নতুন অফিস (কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়) চালু উপলক্ষে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নিয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজার যাত্রা শুরু করেছে।

মো. জহুরুল হক বলেন, বর্তমানে দুদকের সক্ষমতা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে দুদকের সাংগঠনিক কাঠামোর পরিসর বাড়ানোর হচ্ছে। আগামী ১ জুলাই থেকে আরও ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন করতে যাচ্ছে কমিশন। এতে জনগণ আরও সহজে দুর্নীতির অভিযোগ পৌঁছাতে সক্ষম হবে এবং দুর্নীতিবাজদের মনে ভীতির সঞ্চার হবে। দুদক কোনো দুর্নীতিবাজকে ছাড় দেয় না। ভবিষ্যতেও ছাড় দেবে না।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৬ অক্টোবর কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নিয়ে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় স্থাপনের ঘোষণা আসে। এরপর গত ১ নভেম্বর আরও ১৩টি জেলা কার্যালয় স্থাপন ও চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ), গাজীপুর (গাজীপুর ও নরসিংদী), মাদারীপুর (মাদারীপুর ও শরীয়তপুর), গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর (জামালপুর ও শেরপুর), নওগাঁ (নওগাঁ ও জয়পুরহাট), কুড়িগ্রাম (কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট), চাঁদপুর (চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর), বাগেরহাট (বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা), ঝিনাইদহ (ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা) ও পিরোজপুর (পিরোজপুর ও ঝালকাঠি) সমন্বিত জেলা কার্যালয়। চলমান ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে এই ১৪টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এতে করে মোট ৩৬ জেলায় সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে দুদক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর