গোদাগাড়ীতে আদিবাসী কৃষক হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনবন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমিতে পানি না পাওয়ায় দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনাকারীর শাস্তির দাবি জানিয়ে মানববন্ধন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল ২০২২) সকাল সাড়ে দশটার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার শহীদ ফিরোজ চত্বর (গোল চত্বর ) এলাকায় ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত ও ন্যায় বিচার নিশ্চিতের দাবিতে উপজেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম গোদাগাড়ী,পবা ও জেলা অ্যাডভোকেসি প্লাটফর্ম রাজশাহী, উপজেলা আদিবাসী পরিষদ ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ব্যানারে এই মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় । জাতীয় কৃষক সমিতির উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন।

বক্তারা বলেন, গত ২৩ মার্চ গোদাগাড়ীর নিমঘুটু গ্রামের দুই সাঁওতাল কৃষক অভিনাথ মারানডি ও রবি মারানডি তাঁদের ধান খেতে পানি না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। গরিব সাঁওতাল কৃষক জমিতে সেচের জন্য পানি চাইতে গেলে পানি না দিয়ে হয়রানি করতে থাকেন সাখাওয়াত হোসেন। তাই দুঃখে বিষ পান করে দুই কৃষক আত্মহত্যা করেন। এটি শুধু আত্মহত্যা নয়, কাঠামোগত হত্যা। তাঁরা সাখাওয়াত হোসেনের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

মানববন্ধনে গভীর নলকূপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, পানির অধিকার কৃষকের নায্য অধিকার। এ অঞ্চলের কৃষকেরা দীর্ঘদিন ধরে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বৈষম্যের শিকার। দুই কৃষকের আত্মহত্যা দেশজুড়ে আদিবাসী আন্দোলনের নতুন দিক তৈরী করেছে। কৃষকের সকল অধিকার আদায়ের জাতীয় কৃষক সমিতির লড়াই অব্যাহত থাকবে।

যুবমৈত্রীর রাজশাহী জেলার সভাপতি মনিরুদ্দীন পান্নার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য আব্দুল মতিন, কৃষক সমিতির জেলার সহ-সভাপতি ফরজ আলী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, আদিবাসী পরিষদের নেতা বিমল চন্দ্র রাজোয়ার, শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা নাজমুল করিম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, আদিবাসী নেতা নরেন পাহান, মতিন পাহান, রবিন হেমব্রম প্রমুখ।

এস/আই