দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে সেই নোটিশ প্রত্যাহার করলেন জনস্বাস্থ্য পরিচালক

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত নারীদের হিজাব এবং পুরুষদের টাকনুর উপরে পোশাক পরিধান করার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি এ নির্দেশনাটি সবার জন্য দিইনি। শুধু মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, ধর্ম একটা ব্যক্তিগত বিষয়, এটা চাপিয়ে দেওয়া নয়। আমাকে ডিজি স্যার বলেছেন, হিজাব ও টাকনুর উপর কাপড় পরার নির্দেশ দিয়ে তুমি চিঠি দিয়েছো তা বাতিল করো, তখনই আমি তাৎক্ষণিক বাতিল করে দিয়েছি। আমি এজন্য গোটা জাতির কাছে দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, ভবিষ্যতে এরকম ভুল আর হবে না, এই প্রতিজ্ঞাও করেছি।

শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মন্ত্রণালয়কে ভেবেচিন্তে জবাব দেব। মন্ত্রণালয়ের চিঠিটা তো আমাকে ভেবেচিন্তে লিখতে হবে। আমাকে ডিজি স্যার বলেছেন, তুমি যে চিঠি দিয়েছো তা বাতিল করো- তখনই আমি তা বাতিল করি। আমি এজন্য গোটা জাতির কাছে দুঃখিত ও আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, ভবিষ্যতে এরকম ভুল আর হবে না-এই প্রতিজ্ঞাও করেছি।

এর আগে গতকাল বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি লিখেছেন, অত্র ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, অফিস চলাকালীন সময়ে মোবাইল সাইলেন্ট/বন্ধ রাখা এবং মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পুরুষ টাকনুর ওপরে এবং মহিলা হিজাবসহ টাকনুর নিচে কাপড় পরিধান করা আবশ্যক এবং পর্দা মেনে চলার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।

সরকারি এ কর্মকর্তা নিজস্ব ক্ষমতাবলে অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে পুরুষ-মহিলা উভয়কে টাখনুর ওপর ও নিচে পোশাক পরিধান এবং পর্দা মেনে চলার নির্দেশনা সম্বলিত বিজ্ঞপ্তি জারি করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার এ বিজ্ঞপ্তটি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ