ভারতীয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয় গত ১৪ জুন। তাঁর ঠিক একদিন আগে ১৩ জুন, সুশান্তের বাড়িতে পাঁচ থেকে ছয়জন ব্যক্তি এসেছিলেন -এমনই দাবি করেছেন অভিনেতার বন্ধু গণেশ হিবরকর। এখানেই শেষ নয়, গণেশের দাবি, দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর বিষয়ে বেশ কিছু সংবেদনশীল তথ্য সুশান্ত জানতেন এবং তিনি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সবকিছু প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিলেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সুশান্তের বন্ধু গণেশ হিবরকর বলেন, ‘২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমি সুশান্তের সঙ্গে কথা বলি। তখন ছিছোড়ে মুক্তি পেয়েছিল। তখন ও দিব্যি ছিল, অবসাদের লেশমাত্র ছিল না। সুশান্তের টিমের অনেকের সঙ্গেই আমি কথা বলেছি, তাঁরাও আমায় বলেছেন সুশান্ত অবসাদগ্রস্ত ছিলেন না।’
তিনি বলেন, ‘১৩ জুন সুশান্তের বাড়িতে পাঁচ-ছয় জন ব্যক্তি গিয়েছিলেন। সন্দীপ সিংয়ের সঙ্গে কাজ করতেন এমন একজন ব্যক্তিই আমায় একথা বলেছেন। ওই ব্যক্তিকে আবার এই কথাগুলো সন্দীপ নিজেই জানিয়েছিলেন। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে দিশা সালিয়ানের মৃত্যুর সম্পর্ক রয়েছে। সুশান্ত সাংবাদিক সম্মেলন করে সবকিছু প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছিল। আর সাংবাদিক সম্মেলন করার পরিকল্পনা সুশান্ত সন্দীপকে বলে দেন। আর এরপরেই সন্দীপ ওদের সুশান্তের পরিকল্পনা জানিয়ে দেন।’
সুশান্তের মৃত্যুর পর গলায় পাওয়া দাগ সম্পর্কে নতুন তথ্য দিয়েছেন সুশান্তের প্রাক্তন কর্মী অঙ্কিত আচার্য। সম্প্রতি তিনি দাবি করেন, ‘সুশান্ত অন্যকে অবসাদ থেকে বের করে আনার চেষ্টা করতেন, তাহলে তিনি কীভাবে নিজে আত্মহত্যা করবেন? সুশান্তের গলায় যে দাগ ছিল সেটা ওর কুকুর ফাজের বেল্টের বলে মনে হয়। আমি সেটা ছবিতে লক্ষ্য করেছি। কারণ, অমি যখন সুশান্তের সঙ্গে ছিলাম, তখন ফাজকে বেড়াতে নিয়ে যেতাম। ফাজের বেল্টও ধুয়েছি বহুবার।’
সুশান্তের মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে গত ৮ জুন দিশা সালিয়ান ১৪ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ
