দাম কমেছে মসুরের লোকসানের মুখে ব্যবসায়ীরা

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি:

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন বাধাই মসুর ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন দেশ থেকে মসুর আমদানী করায় দেশীয় মসুরের চাহিদা কমে যাওয়া এবং গত মওসুমে বেশি দামে ক্রয় করায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন এ সব ব্যবসায়ীরা এমনটাই জানিয়েছেন তারা।

উপজেলার তমালতলা এলাকার ব্যবসায়ী মধু জানান, গত মওসুমে তিনি মোট ২১০ মণ মসুর ক্রয় করেছেন। সে সময় তিনি প্রতি মণ ৩ হাজার ৬শ’ থেকে ৪ হাজার ২শ’ টাকা পর্যন্ত দরে কিনেছেন।

এদিকে গোডাউন ভাড়া দিয়ে তার মোট ব্যয় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমান বাজার দর মাত্র দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৬শ টাকা। এ দরে বিক্রি করলে তিনি ৫ লাখের কিছু বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এ অবস্থায় তিনি প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখিন হবেন। বাজারে মসুরের ডাউল ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু পাইকারী বাজারে মসুরের দাম কম। এদিকে ডাউল মিলগুলোও মসুর ক্রয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, তিনি এবার প্রথমবারের মতো ৩০ মণ মসুর ক্রয় করেছিলেন। দাম না পেয়ে লোকসান হওয়ায় তিনি চলতি মওসুমে মসুর ব্যবসা ছেড়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে মসুর আমদানী করায় দেশীয় মসুরের চাহিদা কমেছে। ফলে বেশি দামে কিনলেও বর্তমান বাজার মুল্য পড়ে গেছে। তিনি আগামী মওসুমে মসুর দাম এভাবে কম থাকলে কৃষকরাও লোকসানের মুখে পড়তে পারেন এমন আশংকা করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাবলু কুমার সুত্রধর বলেন, কৃষি বিভাগ মসুরের ওপরে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে আগামীতেও ফলন ভালো হবে বলে তিনি আশা করেন। তবে কৃষি পণ্যের দাম ওঠা-নামা করে বলে মন্তব্য তিনি করেন।

 

স/আ