দাফনের সময় কেঁদে ওঠা শিশুটির মৃত্যু

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

পাঁচ মাস ২২ দিন গর্ভে থাকার পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গালিবা হায়াত। কিছু সময় পরই চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছিল। এরপর দাফনের সময় কেঁদে ওঠে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল সে। বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা হিসেবে গতকাল শনিবার হেলিকপ্টারে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় আনাও হয়েছিল তাকে। জেগেছিল আশা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুই হলো তার নিয়তি।

 

গতকাল রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গালিবার মৃত্যু হয়।

 

দাদা আবুল কালাম জানান, স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক আফতাব ইউসুফ রাজের তত্ত্বাবধানে গালিবার চিকিৎসা চলছিল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাত পৌনে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

 

আবুল কালাম আরো জানান, আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে। এরপর ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বিকেলে গালিবার লাশ শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

 

গতকাল বিকেলে গালিবাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

 

ফরিদপুর শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা (২৬) ও নাজনীন আক্তার (২৩) দম্পতির প্রথম সন্তান ছিল গালিবা। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। জন্মের দেড় ঘণ্টা পর শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা দেন চিকিৎসক। পরে সকাল ছয়টার দিকে শহরের আলীপুর কবরস্থানে দাফন করার সময় শিশুটি কেঁদে ওঠে।

সূত্র: এনটিভি