দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর সংহতি বাড়ানোর তাগিদ

বামপন্থী আন্দোলন বেগবান করতে দক্ষিণ এশিয়ার কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর সংহতি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রবীণ বাম নেতৃবৃন্দ। আজ রবিবার বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের কংগ্রেস উপলক্ষে আগত শ্রীলংকার জনতা ভিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশের বামপন্থী দলসমূহের মতবিনিময় সভায় পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের প্রতিও গুরুত্বারোপ করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। বাসদের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেভিপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তিলভিন সিলভা ও পলিটব্যুরো সদস্য বিমল রত্নায়েক, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভুঁইয়া, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র বিধান চন্দ্র দাস প্রমুখ।

সভায় তিলভিন সিলভা শ্রীলঙ্কার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বামপন্থী আন্দোলনের অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলেন, শ্রীলংকায় এখনও বুর্জোয়া দ্বি-দলীয় শাসন ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। নানা নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্যেও জেভিপি জনগণের আন্দোলন ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে শ্রীলংকার রাজাপাকশে সরকার একটি দুর্নীতিগ্রস্থ স্বৈরতান্ত্রিক পারিবারিক শাসন কায়েম করেছে। এই সরকার একই সাথে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে খুশি রাখতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে।

বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, এই আলোচনার মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশে দেশে বামপন্থী আন্দোলনসমূহের মধ্যে একটি যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। ভবিষ্যতেও নিয়মিত এই ধরণের সভা আমরা আয়োজন করার চেষ্টা করবো। এজন্য আমরা অন্যান্য বামপন্থী দলসমূহের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

বজলুর রশীদ ফিরোজ দক্ষিণ এশিয়ায় কমিউনিস্ট আন্দোলন বেগবান করতে বিভিন্ন দেশের বামপন্থি দলসমূহের মধ্যে আরও বেশি বেশি যোগাযোগ, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি বাড়ানোর উপর জোর দেন। সকলকে এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ