থাইল্যান্ডের ওই গুহার মধ্যে ভৌতিক নারী!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

থাইল্যান্ডে গুহার মধ্যে আটকে পড়া কিশোর ফুটবলারদের মধ্যে দুইজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে।

যে গুহাটি ওই কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ হারিয়ে আটকা পড়েছে সেটি নিয়ে অনেক লোক-কাহিনী রয়েছে।

গুহাটি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মুখে মুখে যেসব কাহিনী চালু রয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে; এর নাম কীভাবে ‘থাম লুয়াং- খুন নাম নাং নন’ হলো?

‘থাম লুয়াং- খুন নাম নাং নন’ অর্থ হলো – “পাহাড়ের ভেতরে বিশাল এই গুহায় ঘুমিয়ে আছেন একজন নারী। এই পাহাড়েই জন্ম হয়েছে এক নদীর।”

গল্পটিতে বলা হয়েছে যে দক্ষিণ চীনের চিয়াং রুং শহরের এক রাজকন্যা একজন অশ্বারোহী পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের পর গর্ভবতী হয়ে পড়েন। তারা তখন সমাজের ভয়ে ভীত হয়ে শহর থেকে পালিয়ে দক্ষিণের দিকে চলে আসেন।

যখন তারা এই পাহাড়ি এলাকায় এসে পৌঁছান তখন রাজকন্যার স্বামী তাকে বলেন সেখানে বিশ্রাম নিতে।

স্বামী তখন খাবারের সন্ধানে বের হয়ে যান। তখন রাজকন্যার পিতার লোকেরা তাকে দেখতে পায় এবং তাকে হত্যা করে।

রাজকন্যা সেখানে কয়েকদিন অবস্থান করে তার স্বামীর জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে। তিনি যখন নিশ্চিত হন যে তার স্বামী আর ফিরে আসবে না।

তিনি তখন নিজের চুলের একটি ক্লিপ নিজের পেটের ভেতরে ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেন।

তারপর তার মৃতদেহ তখন একটি পর্বতে পরিণত হয় এবং তার শরীর থেকে যে রক্ত ঝরেছিল সেটা প্রবাহিত হয়ে ‘নাম মায়ে সাই’ নামের এক নদীর জন্ম হয়।

ওই রাজকন্যা ভৌতিক নারী হিসেবে গুহাটিতে অবস্থান করছেন বলে লোক-কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়।