তিন দিন আটকে রেখে ছাত্রীকে ধর্ষণ!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে স্কুলছাত্রীর বাবা মোজাম্মেল হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আসামি মোজাম্মেল হক উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের মেঘারবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একজন ব্যবসায়ী। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় উপজেলার নয়ানগর এলাকার মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে মোজাম্মেল হক তাঁকে অপহরণ করেন।

গাড়িটিতে তোলার পর মোজাম্মেল অচেতন করার রাসায়নিক মিশ্রিত একটি রুমাল ওই ছাত্রীর নাকে চেপে ধরে অজ্ঞান করে ফেলেন। এরপর কোনো একটি ঘরে তিন দিন আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল শনিবার বিকেলে দুরমুঠ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ওই ছাত্রীকে ফেলে যান মোজাম্মেল। স্থানীয় লোকজন ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে মেলান্দহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমি দরিদ্র মানুষ। মেয়েকে খুব কষ্টে লেখাপড়া করাই। বুধবার দুপুরে বিকেলে সে প্রাইভেট পড়তে যায়। এরপর থেকে মেয়ের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। শনিবার বিকেলে দুরমুঠ এলাকার লোকজনের কাছে খবর পাই, অসুস্থ অবস্থায় সেখানে আমার মেয়েকে কেউ ফেলে গেছে। নেশা দ্রব্য কিছু একটা মেয়েকে খাওয়ানো হয়েছিল। আমার মেয়েকে যারা-এমন অবস্থা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম বলেন, ‘পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। স্কুলছাত্রীর বাবা অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’ প্রথম আলো