তামিমের ৯০০০, সৌম্যর প্রথম শূন্য

সিল্কসিটিনিউজ ক্রীড়া ডেস্ক:

মাত্র ১৫ রান দূরত্বে ছিলেন। সেটা দ্রুতই তুলে আরও একটা প্রথমের কীর্তি গড়লেন তামিম ইকবাল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯০০০ রান হয়ে গেল তাঁর। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তাঁর এই রান।

এদিকে, এক বছরেরও বেশি সময় পর ওয়ানডে ক্রিকেটে সৌম্য ফিরলেন দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আউট হলেন শূন্য রানে। ১৭ ম্যাচের ছোট্ট ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তাঁর প্রথম শূন্য।

তামিমের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কীর্তি গড়েছেন অনেকে। তবে এত দিন ধরে খেলা আসা ক্রিকেটে এত হাজার হাজার ব্যাটসম্যান খেলেছেন, সেই তুলনায় সংখ্যাটা তামিমের জন্য গর্ব করার মতোই। তামিম যে ৮৯তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯ হাজারের মাইলফলক পেরোলেন।

দিনটা তামিম স্মরণীয় করে রাখলেন মোট রানে কপিল দেবকে পেরিয়ে গিয়ে। সাবেক ভারতীয় কিংবদন্তি অলরাউন্ডার তাঁর রান ৯ হাজার ৩১ রান করেছিলেন। আজ ৪৭ রান করেই তামিম পেরিয়ে যান তাঁকে। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তামিম ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। ৯৮ বলের ইনিংসে চার ৯টি।
বলা বাহুল্য, এই তালিকার শীর্ষে আছেন শচীন টেন্ডুলকার (৩৪৩৫৭ রান)। ২৮ হাজার ১৬ রান নিয়ে এর পরে আছেন কুমার সাঙ্গাকারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫ হাজারের বেশি রান আছে আর তিনজনের। রিকি পন্টিং (২৭৪৮৩), মাহেলা জয়াবর্ধনে (২৫৯৫৭) ও জ্যাক ক্যালিস (২৫৫৩৪)।
বাংলাদেশের পক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরি দুটি রেকর্ডই তামিমের। তামিমের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮ হাজার ৩২৪ রান সাকিব আল হাসানের। মুশফিকের রান ৭২৭৩। এরপর আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল (৬৬৫৫) ও হাবিবুল বাশার (৫১৯৪)। আর কারও পাঁচ হাজার রান নেই।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর গত নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। সৌম্য তাতে ছিলেন না পাঁজরের চোটে। এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফিরলেন বটে, কিন্তু সেই সৌম্যকে আর পাওয়া গেল কোথায়?

মার্চে দেশের মাটিতে এশিয়া কাপ ক্রিকেট, এরপর ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সৌম্য হারিয়ে খুঁজলেন নিজেকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বশেষ সাতটি ইনিংসে ৩০০–ও ছুঁতে পারলেন না একবারও। এশিয়া কাপে ঢাকায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪৮ রানের ইনিংসটিই তাঁর শেষ বলা মতো স্কোর। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাঁকে আবার আগের মতো করে পাওয়ার প্রত্যাশাটা ছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন কই!

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে হাসেনি তাঁর ব্যাট। টানা ব্যর্থতাই সঙ্গী ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটের ঘরোয়া এই আসরে। আফগানিস্তানকে পেয়েও নিজেকে ফেরাতে পারলেন না! আরও একটি ম্যাচে সৌম্য হয়ে থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমীদের আক্ষেপ।

আজকের আউটের ধরনটাও চোখে বিঁধছে। পুল করতে গিয়ে টাইমিংটাই মেলাতে পারলেন না পেরিস্কোপের আবিষ্কারক।

নিজের সেরা সুখস্মৃতির বৃত্তে ফিরেও তাই হতাশা নিয়ে ফিরতে হলো এই বাঁহাতিকে। ওয়ানডের আগের দুই ইনিংসের মাঝখানে ১৪ মাসের দূরত্বটাকে তাই মনে হচ্ছে কত আগের! ওয়ানডেতে ৫০-এর কাছাকাছি গড়টা তাই এক ইনিংসে নেমে গেল ৪৬.১৩-এ।

সূত্র: প্রথম আলো