তামাকমুক্ত নগরীর পরিকল্পনায় এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তামাকমুক্ত রাজশাহীনগরী পরিকল্পনা ও করণীয় নির্ধারনে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগর ভবন সরিৎ দত্ত গুপ্ত সভা কক্ষে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে এবং এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি’র সহযোগিতায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাসিকের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও প্যানেল মেয়র-৩ এবং ৯নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ নূরুন্নাহার বেগমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

এসময় মেয়র বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, তামাক আমাদের শরীরের জন্য একটি ক্ষতিকারক দ্রব্যে। রাসিক ও এসিডি’র ডাকে তামাকমুক্ত নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আজকের উপস্থিতি প্রমাণ করে আমরা তামাক মুক্ত নগরী চাই। ইতিমধ্যেই রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনকে তামাকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত আড়াই বছর ক্ষমতার বাইরে থাকায় সেই ঘোষণা কার্যকর হয় নাই। এই বিষয়ে আমরা গত ৮ মাস ধরে অনেক চেষ্টা করছি। সরকার ইচ্ছা করলে তামাকের ব্যবহার বন্ধ করতে পারেন। এছাড়াও তামাক পণ্যের উপর উচ্চ হারে করারোপ করলে তামাকের ব্যবহার অনেক কমে আসবে। যারা তামাক উৎপাদন করে তাদেরকে সরকার লোন দিয়ে সহযোগিতা করছেন। পাবলিক প্লেসে, বাস, ট্রাক, প্লেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে তামাকের দোকান আছে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০০ মিটারের মধ্যে কোন তামাকের দোকান থাকবে না। রাজশাহীতে ৩৫০০ টি সিগারেটের দোকানের মধ্যে ৬০ভাগ ট্রেড ও প্রিমিসেস লাইসেন্স নাই। এটা উদ্যোগের বিষয়। তিনি দ্রুত এসব দোকানের ট্রেড ও প্রিমিসেস লাইসেন্স করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এসিডি’র উদ্দোগে যৌথলোগো দিয়ে স্টিকার করার জন্য সাজেশন দেন। এছাড়াও এসিডিকে বর্ণালির নিকট তামাকমুক্ত স্লোগান বিশিষ্টি একটি যাত্রী ছাওনী করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি। সেই সাথে কোট চত্বর এলাকা ধুমপানমুক্ত রাখার জন্য জেলা প্রশাসক ও বিচারকদের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।

তামাকজাত দ্রবোর বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণ আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান মেয়র।

রাজশাহী শহরকে বায়ুদূষণমুক্ত, তামাকমুক্ত, শিশামুক্ত বায়ু রাখতে পর্যাপ্ত পরিমানে তেঁতুলগাছ, বটগাছ, পামগাছ ও নিমগাছ রোপনের পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী এপ্রিল মাসে গ্রিন সিটি কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

সভায় বক্তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল ধরনের কর্মক্ষেত্র , সরকারী অফিস, আধা সরকারী অফিস, স্বায়িত্বশাসিত অফিস ও বেসরকারী অফিস, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, গ্রন্থগার, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র, হাসপাতাল ও ক্লিনিক ভবন, ডাক্তারের চেম্বার, ফার্মেসী, আদালত ভবন, বিমানবন্দর ভবন, সমুদ্র বন্দর ভবন, নৌ-বন্দরভবন, রেলওয়ে স্টেশন ভবন, টার্মিনাল ভবন, প্রেক্ষাগৃহ, প্রর্দশনী কেন্দ্র, থিয়েটার হল, বিপনী ভবন, চতুর্দিকে দেয়াল দ্বারা আবদ্ধ রেস্টুরেন্ট, পাবলিক টয়লেট, শিশুপার্ক, মেলা বা পাবলিক পরিবহনে আরোহনের জন্য যাত্রীদের অপেক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সারি, জনসাধারণ কর্তৃক সম্মিলিতভাবে ব্যবহার্য স্থানগুলোতে ধুমপান মুক্ত রাখার আহবান জানান।

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রাসিকের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ বেলাল আহম্মেদ, ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মাহবুব সাঈদ টুকু, ৮নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ শাহনাজ বেগম শিখা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ারুল আমিন আযব, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ টুটুল, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আবদুস সোবহান লিটন, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মনির হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নূর মোহাম্মদ মোল্লা, ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মনসুর রহমান, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল আলম মিলু, ২৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আশরাফুল হাসান বাচ্চু, ২৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহজাহান আলী, ২নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ নাসিরা খানম, ৩নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ মুসলিমা বেগম বেলী, ৬নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ মমতাজ মহল লাইলী, ৭নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ নাজমা খাতুন, ১নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ তাহেরা বেগম মিলি, ১০নং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মোসাঃ সুলতানা রাজিয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মোঃ ওয়ালিদ হাসান মাহমুদ রানা, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা লাইসেন্স মোঃ সারোয়ার হোসেন খোকন, ট্যাক্সেশন কর্মকর্তা কর মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ শিমুল, লাইসেন্স পরিদর্শক মোঃ রেজাউল করিম।

স/অ