ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নাজমুল কারাগারে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো.ওয়াহিদুজ্জামান  কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামির পক্ষে আইনজীবী এবিএম রুহুল আমিন জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধীতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে গত ৫ নভেম্বর নাজমুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তার আগের দিন গত ৪ নভেম্বর বংশাল থানাধীন রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই  মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো.সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনটির ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর কোতয়ালী থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থী মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল কাফি।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ