ডিসি সম্মেলন ২৬ জুলাই থেকে, চলবে ৪ দিন

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

রোববার (২৪ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আগামী ২৬ থেকে ২৯ জুলাই ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে। প্রতিবছর এ সম্মেলন ৩ দিনে সম্পন্ন হলেও এবার জাতীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় একদিন বাড়িয়ে ৪ দিন করা হয়েছে। সম্মেলনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক নিরাপত্তা, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার প্রাধান্য পাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ডিসি সম্মেলনে সর্বমোট মোট ২২টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৮টি কার্য অধিবেশন থাকবে। বাকি ৪টির মধ্যে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনা ১টি, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং অন্যটি সমাপনী অধিবেশন। কার্য অধিবেশনের মধ্যে প্রথম দিন ৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দিন ৮টি, তৃতীয় দিন ২টি এবং শেষ দিনে ৩টি অধিবেশন আছে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সম্প্রতি গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়ায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ডিসিদের সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির মাধ্যমে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

আগামী ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘শাপলা’ হলে ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ অধিবেশন চলবে সোয়া ১১টা পর্যন্ত। এরপর ১৫ মিনিটের চা বিরতির পর সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন বিষয়ে মুক্ত আলোচনা হবে। সবশেষে টাইগারস গেটে অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিদের ফটো সেশন।

একই দিন আরো ৫টি কার্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কার্য অধিবেশনে যেসব মন্ত্রণালয় ও কার্যালয় সংশ্লিষ্ট আলোচনা হবে সেগুলো হলো- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা ও প্রাথমিক, গণপূর্ত ও ডাক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

দ্বিতীয় দিন ৮টা ৪৫মিনিটে অধিবেশন শুরু হবে। প্রথমে ভূমি ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এরপর পররাষ্ট্র ও ভূমি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান, শিল্প ও বাণিজ্য, দুর্যোগ ও খাদ্য এবং বিদ্যুৎ, কৃষি ও পানি, এলডিআরডি এবং পার্বত্য, সড়ক ও সেতু এবং রেলপথ, স্বাস্থ্য ও মহিলাবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জেলা প্রশাকদের সাক্ষাতের সেশন আছে।

তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় কার্য অধিবেশন শুরু হবে। এ দিনমাত্র দুটি অধিবেশন হবে। প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং শেষে বিমান এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়।

চতুর্থ দিন শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে কার্য অধিবেশন শুরু হবে। প্রথমে তথ্য ও সংস্কৃতি এবং যুব ও ক্রীড়া, এরপর মৎস্য এবং নৌ-পরিবহন, ধর্ম ও আইন এবং সমাজ কল্যাণ। সর্বশেষ ১১টা ৪৫ মিনিটে সমাপনী অনুষ্ঠান।

সর্বমোট ৩৮টি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নিয়ে চারদিনের অধিবেশনে আলোচনা হবে। এই আলোচনা থেকে সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দেয়া হবে। আর মাঠ পর্যায়ে ডিসিরা যেসব কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন তা সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সূত্র: বাংলামেইল