রাবিতে গ্রন্থাগারে ‘ডিসকাশন কক্ষ’ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রবিবার সকাল ৮টা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের ডিসকাশন রুমের সামনে সারিবদ্ধ করে ব্যাগ রেখে দাঁড়িয়ে আছে শতাধিক শিক্ষার্থী। প্রহরীর পথপানে চেয়ে সময় গুনছেন সকলেই। লক্ষ একটাই, প্রহরী কক্ষের দরজা খোলা মাত্র একটি সিট দখল করা।

 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সামনে প্রতিদিন এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে সিট দখল করতে প্রতিযোগিতা করতে হয় শিক্ষার্থীদের। ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে গ্রন্থাগারে ডিসকাশন কক্ষে সিট সংখ্যা মাত্র ৬২ টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে গ্রন্থাগারের রিডিং রুমে বই-খাতা, ব্যাগ-পত্র নিয়ে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা ফাঁকা থাকে। আর ডিসকাশন কক্ষে বই-পত্র নিয়ে ঢোকার অনুমতি থাকায় শিক্ষার্থীরা সেখানে ভিড় করেন।

8 copy

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডিসকাশন কক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগারে রিডিং কক্ষে বই-পত্র নিয়ে ঢোকার অনুমতি দাবি করেন।

 
এ দাবিতে রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় আধাঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হক সেখানে এসে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে ফিরে আসে।

7 copy
শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রতিদিন ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী। এতে করে সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়েই ফিরে যেতে হয়। এতে পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। এতবড় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে মাত্র ৬২ আসনের ব্যবস্থা থাকবেÑএটা খুবই দুঃখজনক।

 
তারা বলছেন, লাইব্রেরির রিডিং রুমে বই নিয়ে ঢুকতে না দেয়ায় লাইব্রেরি সব সময় ফাঁকা থাকে। কিন্তু ডিসকাশন রুমে বই নিয়ে ঢুকতে পারায় সকলে এখানে এসে ভিড় জমায়। ডিসকাশন রুম বৃদ্ধি করা অথবা রিডিং রুমে বই-পত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ঢুকতে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

 
বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মু. এন্তাজুল হক সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘সাময়িকভাবে তাদেরকে গ্রুপ করে দুই শিফটে পড়তে পরামর্শ দিয়েছি। পরে সকলের সাথে পরামর্শ করে সমাধাসের চেষ্টা করা হবে।’
স/শ